দেশে ইসলামবিরোধী আইন প্রয়োগ না করার আহ্বান মামুনুল হকের
নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে দেশে ইসলামবিরোধী কোনো আইন যেন প্রয়োগ না হয় সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এসময় ছয়টি ইসলামিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলো হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
মামুনুক হক বলেন, সেখানে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য কয়েকজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। আমরা নিজ নিজ দল থেকে সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি।
তিনি বলেন, মৌলিকভাবে যে প্রস্তাবনা এসেছে তা হলো নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার। নির্বাচন কমিশনসহ যেসব দলীয় ব্যবস্থাপনা রয়েছে তাকে ঢেলে সাজিয়ে নতুনভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা করা। এজন্য আমরা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছি। সারাদেশে ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব যাতে সরকারে থাকে সে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
বিচার বিভাগ, শিক্ষা, প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার যে আয়োজন যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের আবির্ভাব হয়, সেটায় ভারসাম্য আনতে সাংবিধানিক প্রস্তাব করা হয়েছে। সংবিধানে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে যে ধারাটি ছিল তা বাতিল করা হয়েছিল, তা বহাল করার আহ্বান জানিয়েছি। দুবারের বেশি একজন প্রধানমন্ত্রী যাতে পদে না থাকতে পারে সেই প্রস্তাবনা দিয়েছি।
হেফাজত ইসলামের নামে করা তিন শতাধিক মামলা আছে, তা যাতে আইনি প্রক্রিয়ায় নির্বাহী আদেশে দ্রুত প্রত্যাহার হয়। এজন্য এক মাসের সময়সীমা চেয়েছি।
মামুনুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কাছে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরাও তার আহ্বানে সাড়া দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। আমরা বলেছি, তিনি যাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে অযথা কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের আয়োজন করেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাও একমত জানিয়েছেন।
এএএম/এমএএইচ/জেআইএম