রিজভী
স্বৈরাচারের পোকামাকড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মাহসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও তার পোকামাকড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে। স্বৈরাচার আত্মপ্রকাশের জন্য অতিবিপ্লব তৈরির জন্য চেষ্টা করছে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরশাসকের দোসররা। তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ, দিবসটি নানাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। যারা বাংলাভাষী তারা এ দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। আমরা যার সাহিত্যকর্মের মধ্যে পেয়েছি কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঞ্চনা থেকে মুক্তিলাভ করা যায়। তার কবিতায়, গানে, সাহিত্যকর্মে তা ফুটে উঠেছে। তিনি অনন্য বাংলাভাষার প্রধান কবি। একদিকে তিনি যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা বলেছেন অন্যদিকে তিনি প্রেমের কবি। এরকম এক অসাধারণ বৈচিত্র্যের সম্মিলন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে এক ভয়ংকর স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। সে আন্দোলনের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে আপনারা শুনেছেন কারার ওই লৌহ কপাট। সে আন্দোলনের মধ্যে শুনেছেন আমরা ঝর্ণার মতো চঞ্চল। আপনারা সে আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াইয়ে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা এক অভূতপূর্ব শক্তি পেয়েছিলেন নজরুলের গান শুনে, নজরুলের গান গেয়ে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মাহসচিব বলেন, আজও আমাদের প্রেরণা দেয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করতে হবে। আমরা তাই যখন কারাগারে যাই তখন নজরুলের গান গাই। আমরা যখন মিছিল করি তখন নজরুলের গান গাই, আমরা যখন স্লোগান দেই নজরুল আমাদের প্রেরণা দেয়। আমাদের যখন বন্দি করা হয় তখন নজরুলের গান, কবিতা আমাদের উদ্বেলিত করে।
বিএনপির সিনিয়র নেতা বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর একটি দেশ সমর্থন দিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করেনি। কিছুদিন আগে সেই দেশ তাদের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলকে ভাসিয়ে দিয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেলেছিল, গতকাল ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলে দিয়েছে। তারা পরিকল্পিত অশুভ উদ্দেশ্যে নিয়ে তারা এ কাজটি করছে।
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে যখন আমাদের পানি দরকার তখন তারা পানি দেয় না, আমাদের ন্যায্য অধিকারটুকু অর্থাৎ যে শেয়ারটুকু পাই তাও তারা দেয় না। স্বৈরশাসকের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশের জনগণ বঞ্চিত হয়েছে।
রিজভী বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্বাধীন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো শেখ হাসিনা নিজের কবজায় নিয়েছিলেন। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশন একটি। সেখানে শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এখনো রয়েছে। প্রশাসনের নানা জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে রয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের দূরীভূত করতে হবে। সত্যিকারের জনগণের শাসন কায়েমের জন্য সকলকে কাজ করতে হবে।
কেএইচ/বিএ/এমএস