চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
কাউন্সিলররা ‘আত্মগোপনে’, কর্মকর্তাদের সনদ ইস্যুর নির্দেশ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ‘আত্মগোপনে’ চলে গেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়রসহ কাউন্সিলররা। যার প্রভাব পড়েছে নাগরিক সেবায়। বিশেষ করে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণে জাতীয়তা সনদ ও জন্মনিবন্ধনসহ অন্যান্য সনদ ইস্যু করা যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তি হচ্ছে সনদপ্রত্যাশীদের।
এই অবস্থায় কাউন্সিলররা যোগ না দিলে চসিকের কর্মকর্তাদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং জাতীয়তা সনদসহ অন্যান্য সনদ ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এর আগে ২০২০ সালে করোনাকালে চসিক নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ায় প্রায় ছয় মাস কর্মকর্তারা এসব সনদ ইস্যু করেছিলেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চসিকের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড অফিসে ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী, ২৫ নং রামপুর, ১০ নং উত্তর কাট্টলী এবং ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড কার্যালয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর দুদিন আগে ৩ আগস্ট হামলার ঘটনা ঘটে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত কার্যালয়ে যাননি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। একইভাবে কার্যালয়ে যাননি কাউন্সিলররা। এদের মধ্যে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কাউন্সিলররা নগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পদে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইলও বন্ধ আছে। পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে আশা করছি তিনি অফিস করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোববার ৪১ ওয়ার্ডের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। বৈঠকে ওয়ার্ড সচিবদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা কাজে যোগ না দিলে কর্মকর্তারা সনদ ইস্যু করবেন।’
এএজেড/ইএ/জেআইএম