শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান ফখরুলের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, গণবিচ্ছিন্ন সরকার আইন, সংবিধান, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি, মানবিকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জনরোষ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সুবিধা ও ইচ্ছামতো যা ইচ্ছা তাই করছে। এসব করতে গিয়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ছিন্নভিন্ন করে গণতান্ত্রিক ও মানবিক চরিত্র গুম করেছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে নস্যাৎ করতে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার।
বুধবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দমন করতে বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়েছে সরকার। অমার্জনীয় অপরাধ করে জানতে চায় কি তাদের অপরাধ? তাদের অপরাধের তালিকা এতই দীর্ঘ যে বিবরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখনও অনেক অভিভাবক সন্তানের খোঁজ পাচ্ছেন না। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসরুর হাসানকে গত ২৫ জুলাই রাতে ডিবি তুলে নিয়ে গেলে অভিভাবকরা থানা, ডিবি অফিস, বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে ৩০ জুলাই রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করতে এলে মাসরুরের বাবা ও ভাইকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। এরকম অসংখ্য শিক্ষার্থীদের খোঁজ তাদের অভিভাবকরা না পেয়ে উদ্বিগ্ন, অসহায় অবস্থায় আছেন।
কারফিউ চলাকালীন এলাকা ভাগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘ব্লক রেইড’ পরিচালনা করছে ও নির্বিচারে ছাত্র গ্রেফতার করে অভিভাবক, তরুণ সমাজ এবং জনমনে ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার করছে। এসব করে কোনো লাভ হয়নি, বরং সরকারের কূটকৌশল উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা নতুন উদ্যোমে আন্দোলন এগিয়ে নিচ্ছেন।
কেএইচ/এমএএইচ/এমএস