আন্দালিব পার্থসহ বিএনপির ৩ নেতাকে গ্রেফতারের অভিযোগ ফখরুলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৪
ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যুক্তিসঙ্গত আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের এখন গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে (যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন) সানিয়াতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে বুধবার রাত ১টায় বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বুধবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমে দেওয়ায় বিবৃতিতে তিনি তাদেরকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার কিংবা নেতাকর্মীদেরকে বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেফতার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হচ্ছে। আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য দিচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়। শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রী সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করলো অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধু ছয় জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেয়ারই নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে জনগণ মনে করে।

ফখরুল আরও বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশ ও আনসার সদস্য যারা নিহত হয়েছেন তাদের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২ লাখ নগদ টাকা ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে প্রদান করা হয়েছে, অথচ শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাখির মতো গুলি করে গণহত্যা করা হলো যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান ফখরুল।

কেএইচ/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।