খুনিরা কেউ বাঁচবে না : সৈয়দ আশরাফ


প্রকাশিত: ০১:২৯ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৬
ফাইল ছবি

যারা একের পর এক খুন করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে তারা কেউই বাঁচতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিশেষ করে ব্লগার বা সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর আঘাত হচ্ছে। এটা সরকার সহজে নিবে না। কারো উপর আক্রমণ করে নয়, আইনি প্রক্রিয়ায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তো এখন ক্ষমতায় নেই। তাদের অনেক সময় আছে, তারপরও রাজনীতিতে সময় দেয় না। মাঝে মাঝে আসে, একদিন দুই দিন কথা বলে। ফের তিন-চার মাস খবর থাকে না। বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

ওলামা লীগ প্রসঙ্গে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন তারা আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠন নয়। এখন অনেকেই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করেন।

ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি দেশের সর্ববৃহৎ নির্বাচন। সেখানে কিছু কিছু ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটছে। তবে এমন কিছু হয়নি যা জাতির জন্য চিন্তার কারণ কিংবা চ্যালেঞ্জ হবে। নির্বাচন শেষ হলে এটা মানুষ ভুলে যাবে। এবারের নির্বাচন সবচেয়ে বেশি শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
 
সৈয়দ আশরাফ বলেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। আমাদের দেশে এই ট্রাডিশন ছিলো না। আমরা এটা শুরু করেছি। আগামীতেও দলীয়ভাবেই এই নির্বাচন হবে। আরেকটা নির্বাচনের পর এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ মে’র মধ্যে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবন খালি করা হবে। জুন মাসে তা ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ শুরু হবে। দুই বছরের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ শেষ হবে।

আশরাফ আরো বলেন, গত ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকা সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোকে আলাদা অফিস নিয়ে বর্তমান ভবনটি খালি করে দিতে হবে। এরপর ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে। রাজউক কর্তৃক অনুমোদিত নতুন ভবনের নকশা ও পাইলিংসহ সমুদয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। আশা করছি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মূল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।  

এর আগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ডা. বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম আমিন ও সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএমজেড/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।