টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আ’লীগের কমিটি, প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ২৪ জুন ২০২৪

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসানুল কবিরকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝিকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে কমিটি ঘোষণা করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান তারা। এর প্রতিকার চেয়ে তারা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়। সম্মেলনে ভোট দেন উপজেলার ৪৯৬ জন কাউন্সিলর। এতে ৩২৮ ভোট পেয়ে হাফিজ আল আসাদ বারেক সভাপতি এবং এ কে এম আসানুল কবির ২৩৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানী শান্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝি ৬৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে বলেন। সেই মোতাবেক টঙ্গিবাড়ী উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা বরাবর জমা দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিতে নানা টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে দুই বছরেরও অধিক সময় অতিবাহিত করে। পরে ২১ জুন সবার অগোচরে মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আসানুল কবিরকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বেলায়েত হোসেন লিটন মাঝিকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পকেট কমিটি ফেসবুকে প্রকাশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক অভিযোগ করেন, আমাদের (সভাপতি-সম্পাদক) সুপারিশ করা ৭১ সদস্যের কমিটির মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। একজন বাসার কাজের লোককে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। যারা বিগত সময়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করেছে কমিটিতে তাদের স্থান দেওয়া হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। এই অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বলেন, সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ও সাগুফতা ইয়াসমিনও উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমান প্রধান বক্তা ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার সামনেই আমাকে সভাপতি হিসেবে এবং এ কে এম আসানুল কবিরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। তারপরও তারা তৃতীয় ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক করে ফেসবুকে ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই, আমরা এর প্রতিকার চাই।

এনএস/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।