খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নেওয়া শেষে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে বিকেল ৩টার পর মির্জা ফখরুল হাসপাতালে যান এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক এবং ডাক্তাররা কাউকে ভেতরে যেতে দিচ্ছেন না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি তার চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তারদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তার অবস্থা বেশ ক্রিটিক্যাল। তারা আজ সন্ধ্যায় সম্ভবত আবার বোর্ড মিটিং করবেন। এই মিটিংয়ে তারা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
তিনি বলেন, আমি জনগণের কাছে আহ্বান জানাতে চাই, তারা যেন খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করেন, আল্লাহ তাআলার কাছে সেই দোয়া চাই।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, তিনি সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার চিকিৎসা চলছে। নতুন করে বলার মতো কিছু নেই।
- আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, হাসপাতালে ভর্তি
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ফখরুল
শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুতই তাকে সিসিইউতে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করে মেডিকেল বোর্ড।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিনসহ মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা কয়েক দফা বৈঠকে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেন।
মেডিকেল বোর্ডের এসব বৈঠকে লন্ডন থেকে ডা. জোবায়দা রহমানসহ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকেন জানিয়ে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক যা করণীয় সে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এর আগে গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে দুদিন সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
কেএইচ/ইএ/এএসএম