ফখরুল

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪
ফাইল ছবি

তারেক রহমানসহ গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকার যে তথ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে ধরেছেন সেটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রধানমন্ত্রীর এ তথ্যের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তারেক রহমানসহ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে যুক্ত করা হয়েছে। তারেক রহমানের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে দুর্বল এবং গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে বর্তমান আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর নিজেদের মতাদর্শের অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে এ মামলার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম ঢোকানো হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে তাদেরই আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর সরকারের সময়সহ দুই দফা তদন্ত ও চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম না থাকার পরও তাকে জড়িত করা সম্পূর্ণরূপে আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুপরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। সেজন্যই চক্রান্তমূলকভাবে ২১ আগস্টের মামলায় তাকে জড়িত করা হয়েছে। বাংলাদেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য ও আত্মমর্যাদার জন্য সুশীল ভদ্রলোকদের সমাজে টিকে থাকাকে অসম্ভব করে তোলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে সুশাসন ও ন্যায়বিচার থাকলে লুটেরা, টাকা পাচারকারী এবং ক্ষমতাঘনিষ্ঠ ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করা হতো। অথচ তারাই আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক ও চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান নেতা তারেক রহমানকে গ্রেফতারের হুমকি গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা বলে আমি মনে করি। আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেফতারের হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কেএইচ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।