বাজেট নিয়ে ইনু

দাগি বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ০৯ জুন ২০২৪

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী সব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু আমি যখন পাতার পর পাতা দেখি কোনো সমাধান খুঁজে পাই না। শুধু কিছু বরাদ্দের হেরফের দেখি আর কিছু নেই।

তিনি বলেন, আমি বলতে চাই যারা ধনী তাদের করজালে আনেন। দাগি বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন। দাগি ঋণখেলাপিদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে তড়িঘড়ি করে একটা ব্যবস্থা করেন। উপজেলায় রাজস্ব অফিস নেই কেন? একটা ইউনিয়নে পাঁচটা গ্রোথ সেন্টার আছে। ইউনিয়নে যারা স্থায়ী দোকান নিয়ে ব্যবসা করেন তাদের করজালে আনেন। সেখানে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বাড়াতে পারেন।

রোববার (৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে জাসদ আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কায় বিপর্যস্ত। বাজারে নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য, ডলার সংকট, সুদের হার বেশি, ব্যাংকে বিশৃঙ্খলা, রাজস্ব আনয়নে ধীরগতি সবকিছু মিলিয়ে আমরা সংকটে আছি। অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলানোর বাজেট আশা করেছিলাম।

জাসদ সভাপতি বলেন, এটা ছিল ধাক্কা সামলানোর বাজেট। এখানে যেমন এবার প্রবৃদ্ধি ধরেছে, এবার কী দরকার ছিল প্রবৃদ্ধি ধরার। আমাদের দরকার মূল্যস্ফীতি কমানো। সবাই জানে যে বেশি টাকা খরচ করলে বাজারে টাকা যাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। প্রবৃদ্ধিতে বেশি না বাড়িয়ে প্রকল্প কাটছাঁট করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা খাতে টাকা বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা যেত। উন্নয়নের এ উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে লোক দেখানো ফুটানি।

আমরা মনে করি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের জন্য ক্রাইসিস স্টেপ লাগে। একইভাবে অর্থনীতির সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক আছে। আপনি বলছেন, আধুনিক অর্থনীতি চাই আর আরেক পক্ষ বলছে এখানে তালেবানি শাসন চাই। আধুনিক অর্থনীতি চান আবার বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে মিছিল এলেও করছেন। এটা কি? এভাবে কী চলবে বাংলাদেশ? আপনি আধুনিক শিক্ষানীতি করতে দেবেন না তাহলে আধুনিক অর্থনীতি কীভাবে হবে?

এনএস/এমএএইচ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।