‘শফিক রেহমানকে গ্রেফতার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপস্থাপক শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, সম্পূর্ণ অন্যায় এবং প্রতারণার মাধ্যমে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে ফখরুল এ কথা বলেন। শফিক রেহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ওই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শফিক রেহমানের গ্রেফতার গোটা জাতিকে নাড়া দিয়েছে। তার রাজনৈতিক চিন্তার সঙ্গে একমত নন, এমন ব্যক্তিরাও আজ সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। কারণ তিনি জাতিকে সুন্দরের কথা বলেছেন, ভালোবাসার কথা বলেছেন।
শফিক রেহমান গ্রেফতার হওয়ার নিন্দা জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ড. ইমরান এইচ সরকার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই। এই স্ট্যাটাসের জন্য ইমরানকে ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকে সুবিধাবাদী আখ্যা দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়; যাকে অপহরণের পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শফিক রেহমান।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে যখন ৮৬টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়, তখনই সংবাদপত্রের মানুষেরা বুঝে যান এই সরকার মূলত ভিন্ন মত পোষণ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, তিন বছর কারাগারে রাখা হয়, তখন অনেকে চুপ থাকেন। যখন মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়, তখন কেউ কেউ কথা বলতে থাকেন। কিন্তু এখন কথা বলার সুযোগটুকুও চলে গেছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ফখরুদ্দিনের আমলে করা প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যদের সব মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, এই সরকারের একজন মন্ত্রী অভিযুক্ত। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা বহাল রেখেছেন। অথচ তিনি এখনো মন্ত্রিত্ব করছেন। এই সরকারের দু’জন মন্ত্রীকে সর্বোচ্চ আদালত সাজা ও জরিমানা করেছেন, তারাও বহাল তবিয়তে আছেন। এই সরকারের একটি মাত্র লক্ষ্য, যেভাবেই হোক, ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন বাবুল, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, এনডিপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী, জিয়া নাগরিক ফোরামের (জিনাফ) সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।
এমএম/এমএমজেড/এনএফ/এমএস