সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার শফিক রেহমান
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বাৎসরিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন জোট সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা ইনু।
তিনি বলেন, তাদের কাউকে সাংবাদিকতার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে তারা অভিযুক্ত হয়েছেন। তবে চূড়ান্তভাবে তারা নির্দোষ হলে সসম্মানে বের হয়ে আসবেন।
ইনু বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে দুই হাজার আটশ’ প্রিন্ট মিডিয়া রয়েছে। এছাড়া ত্রিশের বেশি ইলেকট্রনিক মিডিয়া রয়েছে। বেশ কিছু কমিউনিটি রেডিও ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম রয়েছে। তাহলে গণমাধ্যমে গড়ে প্রায় ৩ হাজার সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী আছে।
তিনি আরো বলেন, বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। আপনারা জানেন সংবাদপত্রে চর্চার জন্য, কাজ করার জন্য কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মাহমুদুর রহমানের কথাই বলুন, শওকত মাহমুদের কথাই বলুন অথবা শফিক রেহমানের কথাই বলুন- সুনির্দিষ্ট অপরাধজনিত কাজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা যদি নির্দোষ হয় তাহলে সসম্মানে বেরিয়ে আসবে। এখানে আইনের কোনো ব্যতয় হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শনিবার সব শেষ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শফিক রেহমানকে গ্রেফতার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি হস্তক্ষেপ কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই গ্রেফতার সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম বা আইনের শাসনের সঙ্গে কোনো সম্পর্কিত নয়। গণমাধ্যম চাপের মুখে নেই। মতপ্রকাশের ভিন্নমত চর্চার আইনগত অধিকার ভোগ করছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে নিষ্পত্তি হয়নি এটা দুঃখের। তবে মামলার তদন্ত চলছে। আশা করছি সুরহা হবে।
এসএ/একে/এবিএস