এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো: নদভী
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমি এবং আমার স্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমরা নাকি টিআর-কাবিখা আর মসজিদের টাকা মেরে দিয়েছি। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো, আমার আমলে এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, ‘দুটি উপজেলায় গত ১০ বছরে ৫০০ মসজিদ করেছি। হাজার হাজার নলকূপ স্থাপন করেছি। সরকারি সহায়তার বাইরে আল্লামা ফয়জুল্লাহ ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। যেখানে আমি বিদেশ থেকে টাকা এনে এলাকার উন্নয়ন করেছি। সেখানে আমাকে কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতি কেন করতে হবে?’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্প এসেছে, আমি তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন দুর্নীতি হলে সেখানে হতে পারে, কিন্তু অন্যের দোষ আমার ঘাড়ে কেন চাপানো হচ্ছে।’
এসময় তিনি নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমানকে দায়ী করেন।
নদভী বলেন, ‘আমার আজকে আপনাদের সঙ্গে এই সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে। দুদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে ডা. মিনহাজ আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। ওই মানববন্ধনের ব্যানার ও ফেস্টুনে আমি ও আমার স্ত্রীর নাম লেখা ছিল। আমরা নাকি টিআর-কাবিখাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লুটপাট করেছি।’
‘আমি মিনহাজুর রহমানকে জিজ্ঞাস করতে চাই, সরকারি উন্নয়নের পাশাপাশি যে ব্যক্তি সৌদি আরবের বাদশাহর সংস্থা থেকে, ওআইসি থেকে, কুয়েতসহ নানা দেশ থেকে শত শত কোটি টাকার চ্যারিটি করছে ওই লোক দুর্নীতি করে? আল্লামা ফয়জুল্লাহ ফাউন্ডেশনে এমন অডিট হয়, যেখানে একটি টাকা এদিক ওদিক যেতে পারে না।’
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএম মোতালেবের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী ছিলেন মিনহাজুর। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী প্রায় ৪৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থীও আওয়াম লীগ নেতা আব্দুল মোতালেবের কাছে।
এএজেড/জেডএইচ/জেআইএম