পিলখানা হত্যা দিবসের গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে: জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বনানী সামরিক কবরস্থানে জিএম কাদেরের শ্রদ্ধা

পিলখানা হত্যা দিবসের গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, দিবসটির গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এটা আমরা আশা করছি।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানার শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, আজকের দিনে আমরা যেটা অনুভব করছি, সেটা মনে হচ্ছে এই দিবসের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। যেকোনো কারণেই হোক এটার গুরুত্ব মনে হচ্ছে কমে যাচ্ছে। যে আবেগটি সবার মধ্যে ছিল, সেটা সেভাবে আর দেখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আজকের এই শোক দিবস মনে হচ্ছে কেবল যারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তাদের মধ্যেই রয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের শুধু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মধ্যেই এই আবেগ থাকার কথা ছিল না। ওইদিনের ঘটনায় যতগুলো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন, তারা সবাই ছিলেন উদীয়মান, চৌকস। তারা অনেক বেশি অবদান রাখতে পারতেন। কিন্তু নির্মম এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা তাদের হারিয়েছি। কিন্তু তারপরও দিবসটির গুরুত্ব কমে যাওয়া আমাদের সবার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দিবসটির গুরুত্ব বহন করতে হবে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এসব শহীদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা চিরজীবী করতে হবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তাদের স্মরণীয় করে রাখতে হবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আরও পড়ুন>> পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার দ্রুত শেষ হবে: আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের দিকে বিডিআরের (বর্তমান বিজিবি) বার্ষিক দরবার চলাকালে হলে ঢুকে পড়েন একদল বিদ্রোহী সৈনিক। তাদের একজন বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালকের (শাকিল আহমেদ) বুকে বন্দুক তাক করেন। সূচনা হয় ইতিহাসের সেই নৃশংসতম ঘটনার।

বিদ্রোহীদের গুলিতে একে একে লুটিয়ে পড়তে থাকেন সেনা কর্মকর্তারা। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর এ বিদ্রোহের অবসান হয়। পিলখানা পরিণত হয় এক রক্তাক্ত প্রান্তরে। পরে পিলখানার ভেতরে আবিষ্কৃত হয় গণকবর। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ। ৩৬ ঘণ্টার এ হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, এক সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিডিআর সদস্য ও পাঁচ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

টিটি/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।