নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
নাগরিক ঐক্যের ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে হামলা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়িতে নাগরিক ঐক্য এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে।
দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দুপুরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচির টেবিল, চেয়ার ভাঙচুর করে কর্মসূচির ব্যানার, স্বাক্ষর করা কাপড়, টেবিল-চেয়ার নিয়ে যান এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এসময় ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে ঘিরে ধরেন এবং মারধর করেন। একপর্যায়ে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোকলেছুর রহমান সবুজ তাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন ক্যাডার মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে আটকে বেধড়ক মারধর করেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। তারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। বিরোধী মতকে দমন করতে তারা রাষ্ট্রযন্ত্রের পাশাপাশি দলীয় ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করছে। অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষরের মতো কর্মসূচিতেও হামলা করছে। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা জানে একদিন তাদের সব অপকর্মের হিসাব জনগণ নেবে। তাই নাগরিক ঐক্যের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। কারণ এই কর্মসূচিতে প্রতিদিন শত শত সাধারণ জনগণ যুক্ত হচ্ছে, তাদের মতামত দিচ্ছে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে স্বাক্ষর করছে।
তারা বলেন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পণ্ড করা এবং সাকিব আনোয়ারের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। প্রতিটি আঘাতের হিসাব নেওয়া হবে। সময় আসছে। জনগণ স্বৈরাচার সরকার এবং সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফুঁসে আছে। যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ হবে। সেদিন গর্তে লুকানোর সুযোগও পাবে না অবৈধ ক্ষমতাসীনরা।
কেএইচ/ইএ/এএসএম