আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জনবল নিয়োগ হচ্ছে


প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৪

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে। খবর বাসস। এ সংক্রান্ত নিয়োগবিধি চূড়ান্ত করে ইতোমধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করেছে। বিধিমালায় বলা হয়েছে, সরাসরি, পদোন্নতি এবং প্রেষণে বদলির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া যাবে। তবে তফসিলে উল্লিখিত বয়সসীমার মধ্যে তাদের নিয়োগ হতে হবে।

ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে জনবল সংকট রয়েছে। জনবল নিয়োগে বিধিমালাও করা হয়েছে। তবে প্রসিকিউশনে জনবল সংকট তেমন একটা নেই। বিদ্যমান জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে প্রসিকিউশনের কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়।’

তিনি বলেন, নিয়োগবিধি সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া। তাই এতদিন প্রেষণে আসা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চুক্তিভিত্তিক জনবল দিয়ে চলেছে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম।

২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্তকারী সংস্থা ও প্রসিকিউশন গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরপরই দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনার জজকোর্ট, সিএমএম আদালত এবং প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল থেকে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এ জনবলের মধ্যে ৮ জনকে সরাসরি ট্রাইব্যুনালে এবং বাকিদের ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দৈনিক মজুরির ভিত্তিতেও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচার কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, স্থায়ী জনবল না থাকায় এবং জনবল কম থাকায় এতদিন কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছিল। এখানে দায়িত্বের বাইরে অনেক কাজ করতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। স্থায়ী জনবল নিয়োগ পেলে এ সমস্যার অবসান হবে। ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জনবলের পদগুলোর মধ্যে রয়েছে- রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, সিনিয়র আইন গবেষণা কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর, বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার, অফিস সহকারী, ক্যাশিয়ার, কোর্টকিপার, গ্রন্থাগারিক, টেকনিশিয়ান, এমএলএসএস, ড্রাইভার, ডেসপাচ রাইটার, জমাদার, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, নাইটগার্ড ও সুইপার।

এরই মধ্যে পৃথক দুটি ট্রাইব্যুনালে ৯টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত রায়ের আসামিরা হচ্ছেন- জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীম, জামায়াতের সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার, চৌধুরী মইনউদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খান। তাদের দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনালে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আনা আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করে তার যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড রায় দেওয়া হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।