নির্বাচন পাতানো ছিল না: কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। যেখানে জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ার তিনি বলেন, নির্বাচন পাতানো ছিল না। নামিদামি অনেক দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি ২৪১ আসনে: টিআইবি
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এসব দাবি করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। (বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে) বিরোধী দলের নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এ রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকে অনেক কথাই বলবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেলো? জনগণকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে তারা। নির্বাচন বর্জনও করেছে। ভালো নির্বাচন হয়েছে বলেই এখন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রশংসা আসছে। বিএনপিই শুধু এই নির্বাচন গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখনো বলছে সংসদ অবৈধ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো প্রহসনের নির্বাচন, মাগুরার মতো নির্বাচন করলেই কি নির্বাচন বৈধতা পাবে? বিএনপির অন্তত আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। দেশে ভালো নির্বাচন করেছেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, সরকারি দলের প্রার্থীকেও শোকজ করেছে কমিশন। গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা পিটার হাসের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান মোতাবেক নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার যেদিন গঠিত হয়েছে তার পেছনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সাংবিধানিক এ বিধানেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি তালা ভেঙে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায় দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে।
এ ঘটনার তিরস্কার করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তালা লাগাতেও পারে আবার ভাঙতেও পারে।
নির্বাচনের নতুন ট্রেনের জন্য বিএনপিকে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায় ইইউ
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
এসইউজে/এমকেআর/এমএস