মশাল পেতে ইসির প্রতি ইনুর পূর্ণ আস্থা
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দলীয় প্রতীক মশাল পেতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বুধবার শেরেবাংলা নগরে ইসির শুনানি শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার আমরা কমিশনে এ সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র এবং দলিলাদি হস্তান্তর করেছি। আজকে তারা সেই কাগজপত্রের উপরে কিছু প্রশ্ন করেছে। আমরা তাদের উত্তর দিয়েছি।
তিনি বলেন, কমিশনের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তারা সুবিবেচনা করবেন এবং সিদ্ধান্ত দেবেন।
সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ইসির সম্মেলন কক্ষে শুনানি শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনার মো. আবদুল মোবারক, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব আইন ড. শাজাহান শুনানিতে ছিলেন।
দলে ভাঙ্গন হওয়ার পর নির্বাচনী প্রতীক মশাল পাওয়ার দাবি করা দুই পক্ষের এক পক্ষের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তারের শুনানিতে অংশ নেন। এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নুরুল আক্তার, ড. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. হাবিবুর রহমান শওকত, সাবেক সংসদ সদস্য জিকরুল আহমেদ খোকন, ঢাকা মহানগর জাসদের সভাপতি মির আক্তার উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে ৩টায় বাদল-প্রধানের শুনানির সময়সূচি রয়েছে।
জাতীয় কাউন্সিলে আলাদা আলাদা দু’টি কমিটি গঠনের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে সম্মেলনের কার্যবিবরণীসহ আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র মঙ্গলবার বিকেলে ইসিতে পৌঁছে দেয় দুই পক্ষ।
জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে দু`ভাগ হয়ে যায় দলটি। সংসদ সদস্য শিরিন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করার বিরোধিতা করে ১২ মার্চ কাউন্সিলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ থেকে বেরিয়ে আলাদা কমিটি ঘোষণা করে দলটির একটি অংশ। শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি ও সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয় এই অংশটিতে। এই কমিটিতে কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল।
এইচএস/জেএইচ/এমএস