‘পোড়া লাশের গন্ধ মেখে গদির লড়াই আর কতকাল’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২৪

ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, পোড়া লাশের গন্ধ মেখে গদির লড়াই আর কতকাল চলবে? কতকাল সাধারণ মানুষ এ ধরনের নৃশংস ঘটনার বলি হবে। জনমনে প্রশ্ন, ক্ষমতার রাজনীতির এই বলি বন্ধ হবে কবে? শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার লড়াই, তবু নিরীহ মানুষকে মরতে হয় কেন?

শনিবার (৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ ধরনের নিষ্ঠুর ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে হতাহতের ঘটনা নিঃসন্দেহে মানবতার পরিপন্থি এক হিংস্র নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

ন্যাপ নেতারা বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে সরকারের উচিত, অবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া। সব রাজনৈতিক বিবেচনায় না করে, দায় এড়ানোর জন্য একে অপরের কাঁধে দোষ চাপানোর চেষ্টা না করে দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক তদন্ত করাই এখন সময়ের দাবি।

jagonews24

নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার দায় সরকার বা বিরোধীদল কেউ এড়াতে পারে না। সাময়িক ব্যক্তিস্বার্থে দেশ ও জাতির বিশ্বাস ধ্বংস করে দিয়ে রাজনীতিবিদরা নিজেদের হাস্যকর বস্তুতে পরিণত করছেন। ফলে দেশের রাজনীতি আজ আমলা আর ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। যা কারো জন্যই শুভ হবে না।

তারা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৫২ বছরেও শাসকগোষ্ঠী ও রাজনীতিরা একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে ক্ষমতাসীনরা ও বিরোধীদের লড়াইয়ে বার বার বলির পাঠা হচ্ছে সাধারণ জনগণ।

নেতৃদ্বয় আর বলেন, ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভস্মীভূত মানুষগুলো রাজনীতি বোঝেনি, রাজনীতির কারণেই তাদের বের হতে হয়নি। বের হতে হয়েছে জীবন-জীবিকার তাগিদে। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের বৌ-বাচ্চা, বাবা-মা, ভাই-বোনসহ দেশবাসীর কথা বিবেচনায় আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, এদের কেউ হয়তো চিকিৎসা বা ভ্রমণ শেষে তারা নিজ দেশে নিজ ঘরে ফিরছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপন ঠিকানায় তাদের পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। অপেক্ষায় ছিলেন আপনজনরা। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ট্রেনের জানালা থেকে মুখ বের করে বাঁচার শেষ আকুতি মানুষটিও। তারা কোনো মায়ের কলিজার টুকরো সন্তান, কারো স্বামী বা কারো বাবা।

কেএইচ/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।