৭ জানুয়ারি কোনো দেশপ্রেমিক ভোটকেন্দ্রে যাবে না: জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৪

আগামী ৭ জানুয়ারি কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যাদের ন্যূনতম দায়বোধ আছে, তারা কেউই ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এই দেশ আমাদের সবার। এই দেশকে রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সে কারণে দেশের মানুষ সংগঠিত হবে, লড়াই করবে, গলায় গামছা বেঁধে এদেরকে (সরকার) ক্ষমতা থেকে নামাবে- এর প্রস্তুতি চলছে।’

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের যারা আসল মালিক- নাগরিকদের আবার ভয়ঙ্করভাবে অপমান করতে যাচ্ছে। তারা আবার গণতন্ত্র কেড়ে নিতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েছিল। ২০১৮ সালে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে না দিয়ে নিজেরাই ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে নিয়েছিল। আর আজকে ৭ তারিখে পরিকল্পিত সহিংসতা তৈরি করে বিরোধী দলের ওপর সর্বাত্মক ক্র্যাকডাউন তৈরি করে তারা মাঠ খালি করে একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই আওয়াজ তুলে সরকার আজ নানানভাবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে ভোট কেন্দ্রে আনতে চায়। মানুষ যাতে বাধ্যতামূলকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসে সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আদালতে রিট করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের দশা। তারা (সরকার) এমন নির্বাচন করে, যে নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। ভয়, আদালত, টাকা-পয়সা দিয়ে মানুষকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে আনতে চায়। নাগরিকদের এই অপমান আমরা হতে দিতে পারি না।’

সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার সময় সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর নৌকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানসহ ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। আমাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আজকে তারা আক্রমণ করছে। এই হচ্ছে সরকারের সাহসের নমুনা। আমরা এর তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।’

জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘সরকার নাটক শুরু করছে, তারা ৭ তারিখ কিছু মানুষ জমায়েত করবে। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে দেখাবে, দেশের মানুষ ভোট দিতে এসেছে। তারা নোংরামি শুরু করেছে। দেশের অসহায় মানুষ যারা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা পায় তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। তাদের কার্ড নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবে। আমি এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জিজ্ঞেস করছি, আপনারা কেন এমন করছেন? তিনি জবাব দিয়েছেন, আপনার জন্য আমি এত কিছু করলে, আপনি আমার জন্য কিছু করবেন না? আমি বলতে চাই এই টাকা কি আপনাদের টাকা, এটাতো জনগনের টাকা। এভাবে তারা অন্যায়ভাবে বল প্রয়োগ করছেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা বিভিন্ন এলাকায় ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।

আরএএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।