প্রতিশ্রুত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাচ্ছি না

সালাহ উদ্দিন জসিম
সালাহ উদ্দিন জসিম সালাহ উদ্দিন জসিম , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৭ এএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আব্দুল কাদের আজাদ। এ কে আজাদ নামেই বেশি পরিচিত। ফরিদপুরের সন্তান। দেশের খ্যাতনামা শিল্পগ্রুপ হামীম-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোর তারই মালিকানাধীন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

ঈগল প্রতীক নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসনে লড়ছেন এ কে আজাদ। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকসহ কয়েকজন। একান্ত সাক্ষাৎকারে তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নামলেও তিনি সেটি পাচ্ছেন না বলেও দাবি করেছেন।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সালাহ উদ্দিন জসিম।

জাগো নিউজ: আপনি একজন সফল ব্যবসায়ী। ছিলেন ব্যবসায়ীদের নেতাও। রাজনীতির সঙ্গে থাকলেও এর আগে নির্বাচন করেননি। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে এসে কেমন লাগছে?

এ কে আজাদ: চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে। চাপেও আছি। কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় অ্যাটাক করছে, যা কাম্য ছিল না। লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। যেটা না করলেই নয় সেটা করছে প্রশাসন। ঘটনা ঘটানোর পর মামলা করলে পাল্টা মামলা করে, আমাদের লোক অ্যারেস্ট করে। প্রধানমন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছেন সেই কথার বাস্তবায়ন চাই।

আমার প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন সবার জন্য সমানভাবে কাজ করবে। অবশ্য জেলা প্রশাসক সাহেব অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেছেন, তার কাছে একটা দরখাস্ত দিতে। আমরা ঘটনা জানিয়ে লিখিত আকারে পাঠিয়েছি। মূলত থানা থেকে আমাদের যে সাপোর্ট পাওয়ার কথা সেটি সঠিকভাবে পাচ্ছি না।

জাগো নিউজ: আপনি বরাবরই সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছেন, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এসপিকে বদলি করা হয়েছে। এতে সন্তুষ্ট কি না?

এ কে আজাদ: এসপির নির্দেশে থানা চলে। ডিসিকে সব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছি, উনি জানিয়েছেন সব অভিযোগ ইসিকে জানানো হয়েছে। আমি সমাধান চাই।

জাগো নিউজ: স্বতন্ত্রে বিব্রত আওয়ামী লীগ। আপনার এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত-সংঘর্ষে সাংগঠনিকভাব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দল। নির্বাচিত হলে আপনি হয় দলে ফিরবেন, বা বিরোধী ভূমিকায় থাকবেন। কিন্তু দলের ক্ষতি পোষাবেন কীভাবে?

এ কে আজাদ: বিভাজন অনেকদিন ধরে চলে আসছে, জেলার রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে বিপুল ঘোষ আরেক ভাগে শামীম হক। দ্রুতই এটা শেষ হবে না, নির্বাচনের মধ্য দিয়েও শেষ হবে না। আমি নির্বাচিত না হলে আমার লোক ভয়াবহ বিপদে পড়বে। তবে আমি নির্বাচিত হলে তাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাবো। সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করবো। কিন্তু নির্বাচিত না হলে চাঁদাবাজি বাড়বে।

জাগো নিউজ: আপনি তো জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। দীর্ঘদিন কাজ করছেন একসঙ্গে। তাহলে ‍দূরত্ব হলো কীভাবে?

এ কে আজাদ: দূরত্ব শুরুতে তৈরি হয়নি। আস্তে আস্তে হচ্ছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে ১৭ তারিখের আগ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। আমরা যে যার মতো কাজ করেছি। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। কিন্তু ১৭ তারিখের পর থেকে আমাদের সমর্থক ও কর্মীদের ওপর আক্রমণ শুরু হয়েছে, ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। অনেক জায়গায় আমাদের নির্বাচনী অফিস ভেঙে ফেলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় আমাদের অফিস নেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাড়িওয়ালাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমাদের ভাড়া দিলে তাকে এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। যার কারণে অনেক জায়গায় অফিস বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন>> আওয়ামী লীগে ‘গৃহদাহ’

অনেক জায়গায় এখনো আমরা অফিস নিতে পারছি না। কারণ সবাই ভয়ের মধ্যে আছে। প্রত্যেকটা ইউনিয়নে আমরা কমবেশি হুমকির মধ্যে আছি। কর্মীরা রাতে বের হলে তাদের লাঠিপেটা করা হয়। বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা ইশানগোপালপুরে। সেখানকার চেয়ারম্যান মজনু সাহেব, একজন সন্ত্রাসী। ওনার অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন। অনেকবার জেলও খেটেছেন। উনি বেপরোয়াভাবে হেলমেট পরে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের কর্মীদের পেটান। কর্মীরা তার নামে মামলা করতেও ভয় পান। দু-একজন মামলা করতে গেলেও থানা থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়। বলেছে, আপনারা মজনু সাহেবের নামটা বাদ দিয়ে দেন।

জাগো নিউজ: নির্বাচনের মাঠ কী সমান নেই?

একে আজাদ: না। আমার প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন সবার জন্য সমানভাবে কাজ করবে। অবশ্য জেলা প্রশাসক সাহেব অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেছেন, তার কাছে একটা দরখাস্ত দিতে। আমরা ঘটনা জানিয়ে লিখিত আকারে পাঠিয়েছি। মূলত থানা থেকে আমাদের যে সাপোর্ট পাওয়ার কথা সেটি সঠিকভাবে পাচ্ছি না। ফোন করলে বলে ফোর্স পাঠিয়ে দিয়েছি, কিন্তু আসামি গ্রেফতারে ফোর্সের তৎপরতা তেমন দেখি না। দু-একজন আসামিকে ধরেছে, কিন্তু পরদিনই জামিন হয়ে আবার যা তাই। আমি সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছি এই ইশানগোপালপুর নিয়ে।

এসপির সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তিনি বলেছেন- ‘ওপর থেকে নির্দেশনা আছে, প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে।’ কিন্তু এখানে প্রশাসন তো এক পক্ষে।

যেভাবে সন্ত্রাসী আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে আমার কর্মীরা ভয় পাচ্ছে। এই ভয়টা ছড়িয়ে যাচ্ছে ভোটারদের মধ্যে। যদি পরিবেশ স্বাভাবিক না থাকে তারা ভোট দিতে আসবে না। এটা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো- এই সন্ত্রাসের সামনে কর্মীদের মাঠে টিকিয়ে রাখা। আমি মনে করি, এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা দরকার।

জাগো নিউজ: নৌকা কেন পেলেন না?

এ কে আজাদ: নেত্রী বা দল যাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাকেই দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমার কোনো দুঃখ নেই। দল থেকে উৎসাহিত করা হয়েছে স্বতন্ত্র দাঁড়ানোর জন্য। দলের পদধারী কেউও যদি স্বতন্ত্রের পক্ষে কাজ করে তার বিরুদ্ধেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। সবাইকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেওয়া হবে, এই আশ্বাসে আমি নমিনেশন সাবমিট করেছিলাম। কিন্তু আমি সে পরিবেশ পাচ্ছি না। তবে আমি এখনো আশাহত হইনি। আমার বিশ্বাস, প্রশাসন আরও সক্রিয় হবে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।



জাগো নিউজ: কতখানি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করেন?

এ কে আজাদ: প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দেখছি না। যা হচ্ছে, সন্ত্রাস। তবে নৌকার জনসমর্থন রয়েছে। নৌকার কিছু রিজার্ভ ভোটও আছে। কিন্তু এখানে আমি নৌকার ভোট পাবো। নৌকার কর্মীরাও আমাকে ভোট দেবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে, পছন্দ করে, কারণ ফরিদপুরে গত ৩০ বছরে আমি অনেক কাজ করেছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হসপিটাল করেছি। প্রচুর লোককে চাকরি দিয়েছি। ৭৫ হাজার লোককে হামীম গ্রুপে চাকরি দিয়েছি, তারা অধিকাংশ ফরিদপুর শহরের।

আরও পড়ুন>> আমি হয়তো আর নির্বাচন করবো না

আমার ছোট ভাইয়ের শারমীন গ্রুপ, সেখানে ৩০ হাজার লোক চাকরি করে। তার অধিকাংশ লোক ফরিদপুরের। এই লোকগুলো মাঠে নেমে গেছে। এজন্য ওরকম তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমি আশা করি না। যেখানেই যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষ তো বলছে, আপনার মতো একজন লোক আমরা খুঁজছিলাম। আপনাকেই ভোট দেবো। আপনিই হবেন আমাদের অভিভাবক। সে কারণে আমি মনে করি, বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি জয়ী হবো।

জাগো নিউজ: এবারের বড় চ্যালেঞ্জ ভোটার উপস্থিতি, এর বাইরে আপনি কোনো চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন?

এ কে আজাদ: দুটো চ্যালেঞ্জ আছে বলে আমি মনে করি। যেভাবে সন্ত্রাসী আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে আমার কর্মীরা ভয় পাচ্ছে। এই ভয়টা ছড়িয়ে যাচ্ছে ভোটারদের মধ্যে। যদি পরিবেশ স্বভাবিক না থাকে তারা ভোট দিতে আসবে না। এটা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো- এই সন্ত্রাসের সামনে কর্মীদের মাঠে টিকিয়ে রাখা। আমি মনে করি, এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও সক্রিয় হওয়া ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা দরকার।

জাগো নিউজ: এ ব্যাপারে আপনি নির্বাচন কমিশন বা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কি না?

এ কে আজাদ: আমি প্রতিনিয়ত জানাচ্ছি। প্রতিদিন জিডি করছি। এটা ডিসি, এসপি, র‌্যাবের অফিস এবং নির্বাচন মনিটরিংয়ে থাকা বিচারকের কাছেও পাঠাচ্ছি। কিন্তু অ্যাকশনে যাবে তো পুলিশ। তাদের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করি।

জাগো নিউজ: ভোটাররা বলছেন, এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক আছে। পাশাপাশি শিক্ষার হার কম। এ বিষয়ে আপনার প্রতিশ্রুতি কী?

এ কে আজাদ: আমার তিনটি প্রতিশ্রুতি। এখানে ষাটের দশকে পদ্মার এপারে ২১ জেলায় একমাত্র পাটশিল্প গড়ে উঠেছিল। এগুলো বিলুপ্তির পথে। এখন কিছুসংখ্যক পাটশিল্প বিভিন্ন জায়গায় আছে। জাতির জনকের কন্যার দূরদর্শিতার কারণে তিনি পদ্মা সেতু করে দিয়েছেন, যার কারণে ২১ জেলায় শিল্পকারখানা গড়ার বিরাট সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আগে আমাদের ঢাকা যেতে চার থেকে সাড়ে সার ঘণ্টা সময় লাগতো। এখন আমি ফরিদপুরে আসি দুই ঘণ্টায়, ঢাকায় যাই দুই ঘণ্টায়। আমাদের এখানে একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করেছি। প্রতিমাসে ১০০ থেকে ১৫০ জন ছেলেমেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে ১২টি ইউনিয়নে এরকম ১২টি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করবো। মাসে ১২শ ছেলেমেয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে, পাশাপাশি চাকরির সুযোগ হবে। এটাই আমার বড় প্রতিশ্রুতি।

এজন্য আমি নগরকান্দার তালমায় প্রচুর জমি কিনেছি। এখানে একটি শিল্পপার্ক গড়ে তুলবো। এতে আমার ট্রেনিংপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েরা এখানেই কাজের সুযোগ পাবে। ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে না। আরেকটি হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে কাজ করবো। শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতার উদ্যোগ নেবো। বিশেষ করে শিক্ষার মূল ভিত প্রাইমারি শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করবো।

আরও পড়ুন>> ‘সরকার ৭ জানুয়ারি নির্বাচন করতে পারবে বলে মনে করি না’

তিন, ফরিদপুর সন্ত্রাসীতে ভরে গেছে। আগের এমপি মোশাররফ সাহেব কিন্তু সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেননি। ফরিদপুরে শান্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশ ছিল। কিন্তু এখন আবার তারা সক্রিয় হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবারও এই পথে পা দিয়েছে। তাদের একটা অংশ মাদক কারবারেও যুক্ত। মাদক চোরাচালানি করে। যার কারণে ফরিদপুরের আইনশৃঙ্খলার বেশ অবনতি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ছিনতাই রাহাজানি বেড়ে গেছে। এমনকি আমার কর্মীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। সমাজে আমার মতো পরিচিত লোকের যদি এই অসহায় অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে টিকে থাকবে? এটিই আমাদের আগামী দিনে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবিলায় কাজ করবো। আমি মনে করি, ফরিদপুরে আরও অনেক কাজ করার সুযোগ আছে।

জাগো নিউজ: জয়ের ব্যাপারে আপনি কতখানি আশাবাদী?

এ কে আজাদ: জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ প্রত্যাশী। যেখানে গেছি বা যাচ্ছি, মানুষ সরাসরি আমার থেকে উপকৃত হচ্ছে। মানুষও মনে করছে, এই লোকটা আসলে যেভাবে অতীতে অবদান রেখেছে, ভবিষ্যতে আরও অবদান রাখবে।

জাগো নিউজ: ‘ঈগল’ নিয়ে কি আগে থেকে আলোচনায় ছিল?

এ কে আজাদ: যতগুলো মার্কা আছে, এর মধ্যে ঈগল আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে। ক্ষীপ্রতাসহ ঈগল পাখির অনেক গুণ রয়েছে। ঈগল তার সেই ঐতিহ্য ৭ তারিখের নির্বাচনে প্রমাণ করবে। আমরা মনে করি, ঈগল নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র হলেও তার কার্যক্রমে সে কখনো নিরপেক্ষ থাকবে না। সে কঠিনভাবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক দমন করবে।

জাগো নিউজ: ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হলে তাদের মধ্যে জোট করার চিন্তা আছে কি না?

এ কে আজাদ: আমরা তো সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আমরা চেষ্টা করবো আওয়ামী লীগে ফিরে যেতে, যেহেতু আমরা পদে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী। তবে যদি দল মনে করে স্বতন্ত্র সংখ্যা বেশি, তারা বিরোধিতা করবে তখন আমরা বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবো।

এসইউজে/এএসএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।