মাওলানা ভাসানী রাজনীতির নৈতিকতার বাতিঘর: বাংলাদেশ ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

মাওলানা আবুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। মজলুম এই নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নেতারা। তারা বলছেন, আজ যখন রাজনীতি থেকে নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত হচ্ছে তখন মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীকে সমগ্র জাতি উপলব্ধি করছে।

মাওলানা ভাসানী ছিলেন রাজনীতির নীতি-নৈতিকতার বাতিঘর। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের প্রাণ পুরুষ। তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে যদি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে দেখি তবে দেখা যাবে, আবদুল হামিদ খান ভাসানীই প্রথম তার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্বায়ত্তশাসন, এমনকি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন জাতিকে।

তারা আরও বলেন, ১৯৪৯ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্তফ্রন্টের নির্মাণ, ৬৯ গণআন্দোলন, ৭০ নির্বাচন, ৭১ মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি পাতায় পাতায় মাওলানা ভাসানী রয়েছেন। তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস নির্মাণ সম্ভব নয়। ইতিহাস সবাই মিলে রচনা করতে হয়। খণ্ডিত ইতিহাস বা আংশিক ইতিহাস জাতির জন্য কল্যাণকর নয়।

ন্যাপ নেতারা বলেন , আজ নীতি নৈতিকতা হুমকির মুখে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংসের পথে। এ অবস্থা থেকে দেশ জাতিকে মুক্তি দিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে লুটেরাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এখানেই মাওলানা ভাসানী আমাদের পথ দেখাতে সক্ষম।

তারা বলেন, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সারাজীবন মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি একই সঙ্গে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রবক্তা ছিলেন। ছিলেন স্বাধিকার আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ। তিনি প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ভাসানী সাহেব সারাজীবন গ্রামে একটি কুঁড়েঘরে কৃষকের মতো জীবনযাপন করেছেন। যার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না, গাড়ি ছিল না, বাড়ি ছিল না।

মাওলানা ভাসানী কেবল আমাদের জাতীয় ইতিহাসে নয় বরং ভারত বর্ষের ইতিহাসের এক অনন্য রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব। যতদিন মেহনতি মানুষের সংগ্রাম থাকবে, সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী আগ্রাসন, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, অসম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনার জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন বেঁচে থাকবেন মুক্তি সংগ্রামী মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।

কেএইচ/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।