‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, তবে কার ষড়যন্ত্র বলবো না’
প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, তবে কার ষড়যন্ত্র তা বলবো না।’
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসিতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
জোটের কারণে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোটকে তিনবার ছেড়ে দিয়েছি। জোট আসুক মাঠে খেলা হোক।
সকাল থেকে বাছাইয়ে বাদপড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন শুরু করছেন ইসিতে। বিকেল ৪টায় প্রথম দিনের আবেদন নেওয়া শেষ করেছে ইসি।
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি প্রার্থিতা ফিরে পাব। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি। আপনার প্রতিদ্বন্দ্বি কে চুন্নু সাহেব এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামানত থাকবে না। এখানে জাতীয় পার্টির কোনো ভোট নেই। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কার ষড়যন্ত্রের শিকার তা বলা যাবে না।
জোটের কোনো সমীকরণে মনোনয়ন বাতিল হলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোটের কোনো সমীকরণ নয়। জোটকে তো তিনবার দিয়েছি। তিনবার ছেড়ে দিয়েছি। জোট আসুক মাঠে খেলা হোক। ভোটাভুটি হোক, যাচাই হোক দেখি। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। চুন্নু মাঠে আসুক, আমরা ভোট করি। কে কত ভোট পায় দেখি। আমি মনে করি নেত্রী এবার জোটে দেবেন না। এবার প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। জোটে দিলে ভোট দেবে কে।
নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন অফিস থেকে বলছে হলফনামায় নাকি ত্রুটি আছে। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। একই সিস্টেমে জাতীয় নির্বাচনে কাগজ জমা দিয়েছি। কিন্তু উপজেলায় সেটা কীভাবে অ্যালাউ করল। আমি তো চার বছর যাবত উপজেলা চেয়ারম্যান।
হলফনামায় ত্রুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার নামে একটা কেস ছিল। ২০১৪ সালে আমার নামে একটা মামলা ছিল। ওই সময় আমি ঢাকায়, মারামারি হয়েছে কিশোরগঞ্জ শহরে। পরে আমার নাম দিয়েছে। তদন্ত করে দেখে আমি ঢাকায় ছিলাম, আমাকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে। আমার নামে তো মামলাই হয়নি।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। জাতীয় পার্টির দাবি, তারা এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছেন না। তবে গুঞ্জন রয়েছে কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ার শর্তে ভোটে এসেছে জাতীয় পার্টি।
এসএম/এমআরএম/জেআইএম