দেশকে মিয়ানমারের মতো গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না: নুর
সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতন, গণগ্রেফতার করে দেশকে মিয়ানমারের মতো গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরা সংঘাত নয় শান্তি চাই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধীদলসমূহের ডাকা নবম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন রাজধানীর পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন তারা। মিছিলটি পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড়, বিএনপি অফিস ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় নুরুলহক নুর বলেন, ‘কারাগারে স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বন্দি আটকে রাখা হয়েছে।’ কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে নুর বলেন, ‘যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকবে তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। নাশকতার মামলায় জড়াতে পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেফতার বাণিজ্য করছে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে।’
আরও পড়ুন>> অবরোধের সমর্থনে ঢাকা জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ১৮টি গুপ্তহামলা ও চারটি গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াতের চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি করেন তারা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেন না। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বন-জঙ্গলে, পুকুর-বিলের ওপর মাচা তৈরি করে ঘুমাচ্ছেন। যেমনিভাবে ৭১ সালে এদেশের বাঙালির ওপর পাকিস্তানি হায়েনারা আক্রমণ করতো, আজও আওয়ামী লীগ রাজাকারের মতো মানুষকে নির্যাতন করছে, পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘‘সারাদেশে আওয়ামী টুর্নামেন্ট চলছে, যেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। ‘আমরা আর মামুরা’ মিলে ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি হয়ে গেছে, তারা ২০১৪ সালের মতো আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিতে নির্বাচনে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কারও কারও মনোনয়ন বাতিল করে সুবিধাভোগীদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করছে। এভাবে ১৪ সালের মতো ভারতের প্রেসক্রিপশনে আরেকটি তাবেদার সরকার গঠনের কাজ চলছে।’
এসএম/ইএ/এএসএম