পুলিশের সামনেই ঘুরে ঘুরে বিএনপির পক্ষে স্লোগান শতাধিক রিকশাচালকের
সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আগামীকাল শনিবার নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই মহাসমাবেশের সমর্থনে নয়াপল্টনে মিছিল করছেন রিকশাচালকরা। শতাধিক রিকশাচালক রিকশা নিয়ে নয়াপল্টন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে পুলিশের সামনেই বিএনপির পক্ষে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
কেউ স্লোগান দিচ্ছেন ‘খালেদা জিয়া’, কেউ বলছেন ‘এক হও, লড়াই করো’। কেউবা আবার স্লোগান দিচ্ছেন, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দেড় হাজারের বেশি র্যাব মোতায়েন, চলছে তল্লাশি
স্লোগান দেওয়া দুজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। ঢাকায় এসে রিকশা চালাচ্ছেন আর বিএনপির পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। আজ রাতে ও আগামীকাল তারা এভাবে রিকশা চালাবেন এবং স্লোগান দেবেন।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুষ্ঠানিক অনুমতি মেলেনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে নাইটিঙ্গেল মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই মহাসমাবেশের অনুমতি পাবে। তবে এখনো স্থান নির্ধারণ হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মহাসমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমার ধারণা তারা অনুমতি পাবে। তবে, স্থানের বিষয়ে এখন বলা যাচ্ছে না। স্থানের বিষয়টি খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের দাঁড়াতে নিষেধ করছে বিএনপি
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিবির একাধিক টিম ঘুরে ঘুরে দেখছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশের টহল টিম।
জামায়াতে ইসলামীও শনিবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তারা যদি সমাবেশ করে তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন যদি না থাকে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের কথা বললেই তাদের সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। কাকে কোথায় দিতে হবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবেন। ঢাকা শহরের নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
কেএইচ/টিটি/কেএসআর/জেআইএম