‘শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত হলে রাজনৈতিকভাবেই মূল্য দিতে হবে’

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৩ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

হাসানুল হক ইনু। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) সভাপতি। জন্ম ১৯৪৬ সাল, কুষ্টিয়া। সাবেক তথ্যমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

আসন্ন নির্বাচন, জোট, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে মুখোমুখি হন জাগো নিউজের। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ থাকছে শেষটি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সায়েম সাবু।

জাগো নিউজ: আগের পর্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নাকচ করেছেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনীতির মাঠ সমান্তরাল করেছিল বলেই আপনারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বদৌলতেই আপনি মন্ত্রী হলেন।

হাসানুল হক ইনু: বদৌলতে বলবেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি নির্বাচন হয়েছে। চারটিই বিতর্কিত। পরাজিতরা কারচুপির অভিযোগ করেছে।

জাগো নিউজ: তাহলে ২০০৬ সালে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসালেন কেন?

আরও পড়ুন>> ‘বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করতে পারে, ক্ষমতার পরিবর্তন করতে পারবে না’

হাসানুল হক ইনু: আমরা আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আসিনি। আমরা খালোদা জিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। খালেদা জিয়ার গোয়ার্তুমির কারণে সামরিক শক্তির হস্তক্ষেপ হয়েছে।

জাগো নিউজ: খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কী কারণে আন্দোলন করেছিলেন?

হাসানুল হক ইনু: খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধ্বংস করেছিল। তাই আন্দোলন করেছিলাম।

জাগো নিউজ: একই তো রূপ?

হাসানুল হক ইনু: না একই কথা নয়। ১/১১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারে কোনো বিচারপতি ছিলেন না। আমরা ১৯৯৬ সালে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনলাম। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন। এরপর খালেদা জিয়া নানাভাবে এই ব্যবস্থা নষ্ট করলেন।

জাগো নিউজ: তাহলে তো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাহরণ রেখেছে তত্ত্বাবধায় সরকার?

হাসানুল হক ইনু: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা ত্রুটি আছে।

জাগো নিউজ: ত্রুটিগুলো দূর করলেই পারেন?

হাসানুল হক ইনু: ত্রুটি দূর করার আর সুযোগ নেই। আদালতের রায়ে সব স্পষ্ট হয়ে গেছে।

জাগো নিউজ: আদালতের রায়ে ‘পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকাররের অধীনেও হতে পারে’ বলা আছে।

আরও পড়ুন>> রাজনৈতিক নবায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়ছে

হাসানুল হক ইনু: বলা ছিল, কিন্তু বিশেষ দ্রষ্টব্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে পারে, তবে বিচার বিভাগকে বাদ দিয়ে।

জাগো নিউজ: বিচার বিভাগকে বাদ দিয়েই হতে পারে?

হাসানুল হক ইনু: বিচার বিভাগকে বাদ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে অন্য কোনো ফর্মুলা আমার জানা নেই।

জাগো নিউজ: প্রয়োজনেই তো ফর্মুলা দাঁড়ায়।

হাসানুল হক ইনু: কোনো সম্ভাবনা নেই। বিচার বিভাগ বাদে রাষ্ট্রযন্ত্রের আর কোনো পক্ষ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হতে পারে না। আর্মি, পুলিশ, আমলারা ছাড়া তো আর কোনো পক্ষ নেই। তাদের দিয়ে তো এই সরকার গঠন হতে পারে না।

দুর্নীতি হয়নি আমি তা বলছি না। দুর্নীতির কারণেই মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না। যদি শেখ হাসিনার সরকার ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।

জাগো নিউজ: নাগরিক সমাজ আছে?

হাসানুল হক ইনু: নাগরিক সমাজের কে নিরপেক্ষ আছেন? বিচার বিভাগকে বাদ দিয়ে আর কোনো পক্ষ এখানে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এক হাজার বছরও যদি সংসদে আলোচনা হয়, সমাধান হবে না। অনৈতিক হবে।

জাগো নিউজ: তাহলে বিচার বিভাগও গুরুত্ব পেতে পারে আবার?

হাসানুল হক ইনু: আদালত তো রায় দিয়েছে বিচার বিভাগকে এখানে যুক্ত না করতে। রায়ের বিরুদ্ধে আমি অবস্থান নিতে পারি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও তো নিরপেক্ষ হয় না বলে পরাজিতরা বলে আসছে। এর কোনো গ্যারান্টি নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি কেউ ফল মানেনি।

জাগো নিউজ: দলীয় সরকারের অধীনে আরও অভিযোগ…

হাসানুল হক ইনু: এই অভিযোগও সত্য। তবে আইনের বাইরে কোনো বিকল্প নেই। বরং আইনের মধ্যে থেকেই লড়াই করে ধীরে ধীরে সুষ্ঠু ব্যবস্থায় ফেরা।

জাগো নিউজ: এই লড়াই পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে পারে কি না?

হাসানুল হক ইনু: না। লড়াইয়ের নামে যদি একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে একটি অস্বাভাবিক সরকার আনা হয়, তাহলে লড়াইটা মার খাবে।

কোনো চাপ অনুভব করছি না। বিদেশি যারা চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন, তারা নিজেদের স্বার্থে। আমরা জনগণকে নিয়ে আছি। বাংলাদেশের রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষই ঠিক করবেন। বিদেশি হস্তক্ষেপে কোনো ফল আসবে না। তারা বলছে, আমরা শুনছি।

জাগো নিউজ: এই সরকারের তো শেষ সময়। আর উৎখাতের প্রশ্ন কেন?

হাসানুল হক ইনু: প্রত্যেকবার আন্দোলন করে যদি সরকার উচ্ছেদ করার পর নির্বাচন করেন, তাহলে বাংলাদেশে এক হাজার বছরেও স্থিতিশীলতা অবস্থা আসবে না।

জাগো নিউজ: আপনারা কী চান? কী সমাধান হতে পারে?

হাসানুল হক ইনু: আমরা চাই সংবিধানের মধ্যে থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

জাগো নিউজ: কিন্তু নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, এটি তো অস্বীকার করা যায় না?

হাসানুল হক ইনু: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কয়টি জায়গায় ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে, বলেন। তথ্য দিয়ে বলেন।

জাগো নিউজ: বিরোধী জোটের প্রার্থীরা তো মাঠেই নামতে পারে না। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যেখানে শক্তিশালী ছিল, সেখানেই ভোট কিছুটা সুষ্ঠু হয়েছে।

হাসানুল হক ইনু: এগুলো বলবেন না। কত শতাংশ আপনার অভিযোগ আছে? ভোট পড়েছে কি না? বিএনপি অংশ নিলো কী নিলো না, সেটা দেখার সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থায়ও ত্রুটি আছে। ত্রুটি সংশোধন করার চেষ্টা করছি।

জাগো নিউজ: খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করলেন। আর আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনসহ সব কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন?

হাসানুল হক ইনু: কোথায় ধ্বংস করছি। রাষ্ট্র তো চলছে।

জাগো নিউজ: ওসি, এসপি, আমলারা নৌকা মার্কায় ভোট চাইছে? এতে কী বোঝায়?

হাসানুল হক ইনু: ১০ হাজার আমলার মধ্যে একজন পাগল ডিসি কী বলছে, তা দিয়ে আপনি সব মূল্যায়ন করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন>> ভারত সরকার বাংলাদেশের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকবে বলেই বিশ্বাস

জাগো নিউজ: এই একজন ডিসিই ১০ হাজার জনের মনের কথা বলছেন কি না?

হাসানুল হক ইনু: না। এত সহজ নয়। গণমাধ্যমে কয়জনের বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে?

জাগো নিউজ: আপনি যদি বিরোধী দলে থাকতেন তাহলে প্রশাসনের এমন পক্ষপাত আচরণ নিয়ে কী বলতেন?

হাসানুল হক ইনু: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও ধরে ধরে জেলে পাঠাচ্ছে এই প্রশাসন। প্রতিনিয়ত।

জাগো নিউজ: কয়টি ঘটনা আছে এমন?

হাসানুল হক ইনু: বহু আছে। আপনারাই লিখছেন।

জাগো নিউজ: রাজনৈতিক কারণে নয়, দু-চারজন আটক হলেও দুর্নীতি, অনিয়ম বা ব্যক্তিগত অপরাধের কারণে।

হাসানুল হক ইনু: আইন ভঙ্গ করলেই তো আটক হয়।

জাগো নিউজ: সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে থেকে প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করছে। হামলা করছে। এটিও তো আইনের লঙ্ঘন?

হাসানুল হক ইনু: এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

জাগো নিউজ: আপনি যদি সবই বিচ্ছিন্ন বলেন, তাহলে আমলে নেবেন কোনগুলো?

হাসানুল হক ইনু: প্রতিদিনই বিরোধী জোট কোথাও না কোথাও মিছিল করছে। কয় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি করছে। দু-এক জায়গার ঘটনা দিয়ে সামগ্রিক বিবেচনা করা যাবে না।

জাগো নিউজ: সার্বিক পরিস্থিতিতে চাপ অনুভব করছেন কি না?

হাসানুল হক ইনু: কোনো চাপ অনুভব করছি না। বিদেশি যারা চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন, তারা নিজেদের স্বার্থে। আমরা জনগণকে নিয়ে আছি। বাংলাদেশের রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষই ঠিক করবেন। বিদেশি হস্তক্ষেপে কোনো ফল আসবে না। তারা বলছে, আমরা শুনছি।

জাগো নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তো আমলে নেওয়ার মতোই ঘটনা?

হাসানুল হক ইনু: যুক্তরাষ্ট্র শান্তির কথা বলে এদেশে জামায়াত-জঙ্গিদের সঙ্গেও বৈঠক করছে।

জাগো নিউজ: এই বিরোধিতা আপনার রাজনৈতিক স্বার্থ। তাদের সে স্বার্থ না থাকার কথা।

হাসানুল হক ইনু: গণতন্ত্রের কথা বলে বিদেশিরা জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে না।

জাগো নিউজ: দেশের জনগণের একটি অংশ জামায়াতকে চায়। ভোটে নির্বাচত হয়?

হাসানুল হক ইনু: তাই বলে তো ডাকাতের পক্ষ নিতে পারি না।

জাগো নিউজ: জামায়াতের বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থানও তো স্পষ্ট না? জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করছেন না কেন?

হাসানুল হক ইনু: আদালতে এ ব্যাপারে মামলা আছে। নিষিদ্ধ আদালত করবেন। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। অপরাধ বিএনপির বেশি।

জাগো নিউজ: বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করছে। আর অভিযোগ আছে আপনারা আদালতের ওপর ছেড়ে দিয়ে জামায়াত নিয়ে রাজনীতি করছেন।

হাসানুল হক ইনু: এটি সঠিক নয়। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়ে গেছে। তারা ইতোমধ্যে কোণঠাসা হয়ে গেছে।

জাগো নিউজ: কোণঠাসা কোথায়? সুযোগ পেলেই তো জামায়াত বড় বড় মিছিল করছে।

হাসানুল হক ইনু: নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা মিছিল মিটিং করতেই পারে। এটি আইনে আছে। জামায়াত নির্বাচন করছে স্বতন্ত্রভাবে। এটি তো আটকানোর সুযোগ নেই।

জাগো নিউজ: বিদেশিদের পক্ষ থেকে আরও কোনো নিষেধাজ্ঞা বা চাপ আসতে পারে?

হাসানুল হক ইনু: আমার এ ব্যাপারে জানা নেই। নিষেধাজ্ঞা দিলে তো আমাদের করার কিছু নেই।

জাগো নিউজ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে, দিল্লি আছে আমরা আছি’ । কী আপস হলো?

হাসানুল হক ইনু: এর ব্যাখ্যা ওবায়দুল কাদের সাহেব ভালো দিতে পারবেন। আমরা নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি। আমি মনে করি দেশবাসীরও নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামানো দরকার।

জাগো নিউজ: শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি পরিষ্কার বলে দিয়েছে। কী হবে এবার?

হাসানুল হক ইনু: সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় নির্বাচন হয়ে যাবে। বিএনপি নির্বাচনে না এলে দলটির দুর্ভোগ বাড়বে। খুনি জামায়াতের সঙ্গী তা নয়, এবার গণতন্ত্র বানচালকারী দল হিসেবে পিঠে ছাপ পড়বে।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশকে কি মূল্য দিতে হবে?

হাসানুল হক ইনু: এজন্য বাংলাদেশকে কোনো মূল্য দিতে হবে না। বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের মধ্যেও আমাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

জাগো নিউজ: উন্নয়নের বিপরীতে দুর্নীতির গল্পও আছে?

হাসানুল হক ইনু: দুর্নীতি হয়নি আমি তা বলছি না। দুর্নীতির কারণেই মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না। যদি শেখ হাসিনার সরকার ফের ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা।

জাগো নিউজ: আর শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে তো দুর্নীতির বদনাম বা খেসারত আপনাদেরও দিতে হবে।

হাসানুল হক ইনু: শেখ হাসিনা সরকার উৎখাত হলে তো রাজনৈতিকভাবেই মূল্য দিতে হবে। সুতরাং, ব্যক্তিগতভাবে আমার কী হবে? কোনো অপরাধ করে থাকলে মাথা পেতে নেবো। দ্বিতীয়ত, উৎখাত করবে কারা? বিএনপির সঙ্গী জামায়াত-জঙ্গি? তাহলে তো গোটা বাংলাদেশকেই মূল্য দিতে হবে। তখন তো খুনির রাজত্ব হবে।

এএসএস/এএসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।