খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা, অভিযোগ রিজভীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিষ প্রয়োগে হত্যার পরিকল্পনা ক্লিয়ার হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন,‘সময় হয়ে গেছে, এত কান্নাকাটি করে লাভ নাই’ অর্থাৎ শেখ হাসিনা জানেন বেগম জিয়া কখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন।

তিনি বলেন দেশবাসী জানে, একজন ব্যক্তির জীবন-মরণের বেদনার্ত করুণ সন্ধিক্ষণের কাহিনি। জনগণের মধ্যে জনপ্রিয় তিনি। যিনি জীবনে কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি, তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে আপোসহীন সংগ্রামে। তিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে নির্ভিক যোদ্ধার মতন তেজোদীপ্ত। তিনি দেশের অগ্রগতি ও প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার আহ্বানে জীবনের ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করে না কেউ। তিনি দেশবাসীর ভালোবাসায় সমাদৃত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন>সিসিইউ থেকে আবারও কেবিনে খালেদা জিয়া 

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সংগ্রামী মানুষ যে আবেগজনিত শক্তি অর্জন করেছে তার প্রেরণা বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিন মাস পর সেপ্টেম্বরে তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন তিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি মিথ্যা মামলার ফরমায়েশী রায়ে তাকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য দেশবাসী দেখেছে। সোয়া দুই বছরে তিনি কেন এত গুরুতর অসুস্থ হলেন।

রিজভী আরও বলেন, বেগম জিয়ার রোগব্যাধির ভয়াবহতা এখন চরম পর্যায়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থারাইটিসে আক্রান্ত। কারাগারে যাবার পরে যকৃতের রোগ (লিভার সিরোসিস) দেখা দিয়েছে। যে রোগের কারণে তার পোর্টাল হাইপারটেনশন, পেটে ও ফুসফুসে পানি আসা, অন্ত্রের রক্তরক্ষণ হচ্ছে, যার চিকিৎসা এদেশে আর সম্ভব নয় বলে মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নেই। বর্তমানে তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেছে। বারবার তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কেএইচ/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।