মির্জা ফখরুল
দেশে একটি শ্রেণি দামি গাড়িতে চড়ে, অন্য শ্রেণি না খেয়ে মরে
অর্থপাচারে দেশের অর্থনীতি ফোকলা বা ফাঁপা হয়ে গেছে অভিযোগ করে সমাজে ধনবৈষম্য বৃদ্ধির সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, মানুষের প্রকৃত আয়ের ফারাক ও বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। দেশে দুটি শ্রেণি তৈরি হয়ে গেছে। একটি শ্রেণি দামি পোশাক পরে, নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে চড়ে, অন্য শ্রেণিটি ভিক্ষা করে, না খেয়ে মরে।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা, লাগামহীন দুর্নীতি এবং অর্থপাচারে দেশের অর্থনীতি ফোকলা বা ফাঁপা হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সরকার হিংস্র হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি ফাঁপা বা ফোকলা করে দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পুরো সম্পদ তারা লুট করে নিয়ে চলে গেছে। সেই লুটের টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভিন্ন পত্রিকা ও অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত আমাদের জানা মতে- ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাত থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে, একেবারে লুট।
তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো নতুন বিনিয়োগ নাই, কোনো নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় নাই। যার ফলে দারিদ্র্য একই রকম রয়ে গেছে। মানুষের প্রকৃত আয়ের ফারাক ও বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। এমন একটা জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এখন একটা পয়েন্ট অব রিটার্নে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: পিটার হাসের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তলেতলে সব শেষ
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্থাটি বলছে, এখানে দুটি সোসাইটি তৈরি হয়ে গেছে… একটি হচ্ছে খুবই বড়লোক শ্রেণি- যারা বিদেশে যায়, দামি পোশাক পরে, দামি গাড়িতে চড়ছে। অন্য শ্রেণি গুলশানেই দেখবেন সিগন্যাল পার্টগুলোতে ভিক্ষার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। অসংখ্য মানুষ যারা প্রতিদিনের খাবারটুকুও সংগ্রহ করতে পারে না। এটাই হলো দেশের বর্তমান বাস্তবতা।
গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এমকেআর/জেআইএম