নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা রাখতে ১৫ নেতার কারাদণ্ড: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা আগেই বলেছি— এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার নির্বাচনী মাঠ খালি রাখতেই এলাকার জনপ্রিয় নেতাদের সাজানো মামলার কারাদণ্ড দিয়ে জেলে ঢোকাচ্ছে। ভাটারা থানার একটি নাশকতা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৫ জনের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসব রায় ফরমায়েশি।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নিম্ন আদালত এ আদেশ দিয়ে আসামিদের অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এতদিন রায় দিলো না, অথচ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠ শূন্য রাখতে দিনরাত কোর্ট বসিয়ে একদিনে ১৫ থেকে ২০ জন সাক্ষী এনে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে নেতাদের জেলে টোকানো হচ্ছে। জেল-জুলুম দিয়ে, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এবং একদলীয় নির্বাচন এ দেশে হতে দেবে না।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে আমি বিচলিত নই। সারাদেশই একটি বন্দিশালা। আজ খালেদা জিয়া অন্তরীণ, তারেক রহমানকে দেশান্তরী করে রাখা হয়েছে। সবাই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান হয়েই এ জালিম শাহী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। আমি জেলে গেলেও লাখ লাখ হাবিব রাজপথে এ সরকারকে বিদায় করতে রাজপথে আছে এবং থাকবে।
সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন বলেন, যে ঘটনায় আমাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সেদিন আমি আমার নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়ায় ছিলাম। ওপর আল্লাহ একজন আছেন। তিনি সব দেখছেন। তারপরও আমার জেল নয়, জীবনের বিনিময়েও যদি দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পায়, খালেদা জিয়া মুক্তি পায়, দেশবাসী যদি বাকস্বাধীনতা ফিরে পায় হাসিমুখে শহীদ হবো।
কেএইচ/এমএএইচ/এএসএম