নয়াপল্টনে ছাত্রদলের দু-গ্রুপে সংঘর্ষ, ফখরুল বললেন ‘সরকারের দালাল’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশ চলাকালে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ কয়েকজন ছাত্রদল নেতাকর্মী লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়ে। এসময় মঞ্চে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংঘাত থামাতে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ততক্ষণে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশে নিতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের 

jagonews24

তাদের মধ্যে মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের চারজন চিকিৎসা নিয়েছেন ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে।

জানা গেছে, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের বলয়ে যারা ছাত্রদলের রাজনীতি করেন, তাদের মধ্যে এই সংঘাত বাধে। বকুল গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমিনুল গ্রুপের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।

সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার নির্ধারিত বক্তব্য থামিয়ে সংঘাতকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা সংঘাত করছে তারা সরকারের দালাল। তারা বিএনপি বা ছাত্রদলের বন্ধু নয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, অনেক অনেক বেশি অসুস্থ, চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশে আর তার চিকিৎসা নেই। তাকে বিদেশে না নেওয়া গেলে বাঁচানো দুষ্কর হতে পারে।

ফখরুল বলেন, আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগেছে। বাইডেন সঙ্গে সপরিবারে ছবি তুলে খুব দেখেছিল। বলেছিলেন আর আমেরিকা যাবেন না, অথচ তিনি আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতি কার্যকর করা হলো। ভিসানীতি বাংলাদেশের মতো একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য অপমানজনক। আওয়ামী লীগের জন্য তাও আমাদের দেখতে হলো বলেও মন্তব্য করেন।

কেএইচ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।