যারা মিটমাটের কথা বলে তারা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়: ইনু
‘দেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে, একইসঙ্গে বৈষম্যের ধারাও অব্যাহত রয়েছে। ঘরকাটা ইঁদুর, লুটপাটের সিন্ডিকেট অব্যাহত আছে।
সেজন্য আমি আগেই বলেছি, সমাজতন্ত্রের তিন মাত্রার সংগ্রাম করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই পক্ষ। তিন মাত্রার সংগ্রামে যারা মিটমাটের কথা বলে, তারা মহা দুষ্কর্মকে স্বীকার করে নেয়, যারা মিটমাটের কথা বলে তারা হত্যাযজ্ঞকে জায়েজ করতে চায়, যারা মিটমাটের কথা বলে, তারা বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায়।’
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় যুব জোটের তৃতীয় কংগ্রেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে কংগ্রেসে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি আফরোজা হক রীনা প্রমুখ।
তিনি বলেন, একাত্তর-পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশে অমোচনীয় একটা বিভক্তির রেখা টেনে দেয়। এক পক্ষে মহা হত্যাযজ্ঞের দুষ্কৃতিকারী রাজাকাররা, আরেক পক্ষে জনগণ এবং মুক্তিযোদ্ধারা। একপক্ষে পঁচাত্তরের হত্যাযজ্ঞের খুনিরা, আরেক পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের শরীকরা। একাত্তর-পঁচাত্তর, একুশে আগস্টের যে রেখা সেই রেখা দুইটি পক্ষ তৈরি করে দিয়েছে। একপক্ষ খুনি, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদীরা, আরেক পক্ষে গণতন্ত্রীরা, মুক্তিযোদ্ধারা, সমাজতন্ত্রীরা। আজ এ পরিস্থিতিতে এই দুই পক্ষের মিটমাটের যারা কথা বলে তারা কার্যত একাত্তরের খুনিদের পক্ষাবলম্বন করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিরীন আখতার বলেন, আমরা যুবক, আমাদের সব বাধা ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যারা সব বাধা ঠেলে এগিয়ে যেতে পারে তারাই তো যুবক। আমাদের যে লড়াই, এই লড়াইয়ে আমাদের অবশ্যই জিততে হবে। আজকে যে বাংলাদেশে আমরা বসবাস করছি তাকে বলা হচ্ছে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই রোল মডেলের মধ্যে যেমন উন্নয়নের ধারা আছে তেমনি দেখছি লুটপাটের ধারাও অব্যাহত রয়েছে। সবক্ষেত্রে বৈষম্যের পাহাড় বড় হচ্ছে। উন্নয়ন যাই হোক না কেন বৈষম্য আমরা সহ্য করবো না।
শিরীন বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনো পাকিস্তানকে ভুলতে পারে নাই। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর শেখ হাসিনার পতন চায়। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, অস্বাভাবিক কোন সরকার আমরা হতে দেব না। দেশে স্বাভাবিকভাবে নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আল সাদী ভূঁইয়া/জেএইচ/জেআইএম