খালেদার বিদেশে চিকিৎসা
‘সরকারের মনোভাব ইতিবাচক হলে আবারও চিঠি দেওয়া হবে’
সরকারের মনোভাব যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য আবারও আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
এর আগে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এবিএম আবদুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি মাসেই সরকারের কাছে আবেদন করছি। গত মাসেও পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। সেখানে স্পষ্ট করেই উল্লেখ আছে, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।
তিনি আরও বলেন, তারপরও ওনারা (সরকার) যদি ম্যাসেজ দেয়, মনোভাব যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে আমাদের জানালে আমরা আবারও আবেদন করবো। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসনের এখন চিকিৎসা প্রয়োজন।
এদিকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো।
শর্ত দুটি হলো খালেদা জিয়া ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এসময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
বর্তমানে অসুস্থ হয়ে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অবস্থার অবনতি হলে মাঝেমধ্যে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। তার অবস্থার অবনতি হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এখন কেবিনে সিসিইউ সেটআপে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় অবজারভেশনে আছেন তিনি।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছে।
কেএইচ/জেডএইচ/জেআইএম