আওয়ামী লীগ সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করতে চায়: গয়েশ্বর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি নিয়ে আওয়ামী লীগ অস্তিত্ব জাহির করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, কতটা দেউলিয়া হলে একটি দল সেলফি নিয়ে অস্তিত্ব জাহির করে। সেদিন ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনে আমার অনেক হাসি পেয়েছিল। একটা সেলফি, সেই সেলফি দিয়ে তারা জাহির করার চেষ্টা করেছে যে তারা শেষ হয়ে যায়নি বেঁচে আছে। এখান থেকে বোঝা যায় তারা কতটা দুর্বল। এই দুর্বল সরকারকে যদি আমরা সঠিকভাবে ধাক্কা দিতে পারি তাহলে তাদের পতন হবে।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন রক্ত দেই, কিন্তু সময় মতো রক্ত দেই না। আমরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি, কর্মসূচি অংশগ্রহণ করি, নিজেদের বাঁচিয়ে। তারপরও আমরা দেখি ক্যামেরা আছে কি না। এই ক্যামেরা হচ্ছে একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের কথা পৌঁছে যায়। কিন্তু একটা সময় ক্যামেরা ছিল না তখন কিন্তু আন্দোলন সফল হয়েছে। এখন ক্যামেরা আছে গণমাধ্যম আছে তারপরও আন্দোলন সফল হচ্ছে। কারণ বর্তমান সময়ে যে গণমাধ্যমগুলো আছে এগুলোকে আমি গণমাধ্যম বলি না। এগুলো হচ্ছে শেখ হাসিনার মাধ্যম। সাংবাদিকরা যদি শেখ হাসিনার কথা না শুনে তাহলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। আর প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের চাকরি থাকবে না। তাই তারা সঠিকভাবে সত্য প্রকাশ করতে পারছে না।

সরকারকে পতন করতে পারলে সবার মুক্তি হবে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের মুক্তি চেয়ে লাভ নাই। শেখ হাসিনা পতন চাইতে হবে। তবে যত কথাই বলি না কেন। যত প্রতিশ্রুতি দেই না কেন, জনগণের কাছে দৃশ্যমান না হলে জনগণ উজ্জীবিত হবে না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া অনেক শক্তিশালী ছিল, শেখ হাসিনা কিন্তু ততটা শক্তিশালী সরকার না। গত ৫৩ বছরে এরকম দুর্বল সরকার আর আসেনি। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। তাদের আছে চাপার জোর। এজন্য তারা অত্যাচার, স্বৈরাচারী পন্থা অবলম্বন করেছে।

কেএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।