বাংলাদেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
সরকার সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথাবার্তা বলে বাংলাদেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালির আগে এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন সবচেয়ে আশঙ্কার কথা যেটা আমরা দেখতে পারছি তা হলো, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে একটা কথা খুব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, আজ বাংলাদেশ একটা বৃহৎ শক্তির মর্যাদার লড়াইয়ে তাদের ক্ষমতার প্রভাব বলয়ের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: এক মাসের মধ্যে কারাবরণের আশঙ্কা ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, এ জন্য সম্পূর্ণ দায়ী বর্তমান সরকার। তারা অবিবেচকের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে কথাবার্তা বলে তাদের কূটনীতিকে পরিচালিত করে বাংলাদেশকে সেরকম একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
মহিলা দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের শপথ নিতে হবে যে, আমরা যে কোনো মূল্যে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার করবো। আমরা নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। কথা খুব পরিষ্কার। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, গোলযোগ চাই না।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকেও শাস্তির মুখে পড়তে হয়: ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমরা দেশে একটা সুষ্ঠু ও অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আজ আপনারা সামনে এগিয়ে আসুন, মানুষ এগিয়ে আসছে, জনগণ বেরিয়ে আসছে। এই সরকারের পতন অনিবার্য এবং জনগণের সরকার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবো। এই প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাবো।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলী, ইয়াসমীন আরা হক, শাম্মী আখতার, সাবিনা ইয়াসমিন, নায়েবা ইউসুফ ও রুমা আখতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/জেডএইচ/জিকেএস