একদফার আন্দোলনে সব বিরোধী দলকে রাজপথে নামার আহ্বান ফখরুলের
এক দফার আন্দোলনে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ‘রাজপথে নেমে আসা’র ডাক দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ ডাক দেন।
তিনি বলেন, আজ বড় দল, ‘ছোট দল, মাঝারি দল-এটা বড় কথা নয়, বিএনপি নাকি নাগরিক ঐক্য, নাকি গণসংহতি আন্দোলন, না গণতন্ত্র মঞ্চ… এটা বড় কথা নয়। আমাদের দেশ, আমাদের মানুষ আজ বিপদগ্রস্ত। তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ তরুণ-যুবকরা আছেন এ সাকির (জোনায়েদ সাকি) দলে এবং অনেকে আছেন তরুণ যুবক.. তারা সামনে এগিয়ে এসেছেন। আমি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে চাই যে, তারা আরও বিস্তৃত হোক, তাদের সংগঠন আরও বড় হোক, তারা গণমানুষের মধ্যে চলে যাক। মানুষকে তারা জাগিয়ে তুলুক। সত্যিকার অর্থে একটা শোষণহীন একটা সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করুন…এটা আমি আন্তরিকভাবে চাই।
আমি বিশ্বাস করি যে, একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের এখনই সময়।
তিনি বলেন, ‘আজ সেই সময় এসেছে। আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আমি খুব আনন্দিত হই, প্রথমবারের মতো আজ আমরা এখানে যারা আছি তার বাইরেও যারা আছেন আমরা সবাই এক হয়েছি একটি দাবি যে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেখানে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ৩১ দফা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এখন দেশের এবং বাইরের সমস্ত শক্তি তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে রাজনৈতিক যুদ্ধে হেরে গেছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের রক্তের মধ্য দিয়ে এ রাষ্ট্র নির্মাণ হয়েছে। সেই রাষ্ট্র আজ টিকে থাকবে কি না সেই রকম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে তারা। তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে গিয়ে বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের দিক থেকে আজ ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে, হুমকির মধ্যে ফেলেছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারীর সভাপতিত্বে সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু‘র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এমআইএইচএস