১২ দলীয় জোট

আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৯ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৩

বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে আগামীতে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকের সামনে গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) এবং উপস্থাপনা করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী মোহাম্মদ নজরুল।

মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, চলমান সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপিসহ অন্যান্য দল ও জোটের যুগপৎ কর্মসূচির আওতায় আজকের এই গণমিছিল হচ্ছে। দেশ এবং দুনিয়া দেখছে সিংহভাগ মানুষ শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও মিছিলের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চলবে।

jagonews24

তিনি বলেন, জনগণের বিরামহীন ও ব্যাপক আন্দোলন এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের বহমুখী চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সরকার। মুখে মুখে যতই দাপট দেখানোর চেষ্টা করুক সরকারের ভেতরের অবস্থা ভালো নয়। সরকার বুঝে গেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো পাতানো নির্বাচনের খেলা এবারে সম্ভব নয়। এরই মধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে সরকার, সরকারি দল, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের মনোবল ভেঙে গেছে। তারা সবাই বুঝে গেছে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দায় নেওয়া ঠিক হবে না। সবাই এখন নিজেদের আওয়ামী তাবেদারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনকে যথার্থ মনে করছে।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বাংলাদেশ কঠিন সংকটে পড়েছে। এজন্য দায়ী বর্তমান সরকার। শেখ হাসিনা বলেছিলেন যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা হবে বেঈমান। তাহলে শেখ হাসিনা নিজেই তো নির্বাচনে গিয়ে জাতীয় বেঈমান হয়েছেন। আমি বলবো আর দেশের ক্ষতি করবেন না। কোনো আঞ্চলিক শক্তির স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে আরেকটি পরাশক্তিকে সংঘাতে ঠেলে দেবেন না।

অন্য নেতারা বলেন, বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলোকে বাদ দিয়ে ছোট ছোট কিছু তাবেদার দলকে সঙ্গে নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নাটক করার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আরও একবার প্রমাণ হতে চলেছে, জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গায়ের জোরে চিরকাল ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা যায় না। জনগণ অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়লে যত বড় স্বৈরাচার হোক ক্ষমতার মসনদ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে।

সমাবেশ ও গণমিছিলে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্ব দান করেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসানির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানসুর আলম শিকদারসহ ১০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।

কেএইচ/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।