মহাসমাবেশে পৌঁছেছেন মির্জা ফখরুল
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে। মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে দুপুর ২টায়। তবে দুপুর ১টার পরই নয়াপল্টনে মহাসমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৯টি বড় ট্রাকের দুপাশের ঢাকনা খুলে একটির সঙ্গে আরেকটি একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে মহাসমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ। বিছানো হয়েছে লাল কার্পেট। উত্তরমুখী এ মঞ্চে নেতাদের রয়েছে শতাধিক চেয়ার। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য রাখা হয়েছে দুটি পৃথক চেয়ার।
আরও পড়ুন: নেতাকর্মী-সমর্থকে কানায় কানায় পূর্ণ নয়াপল্টন
মঞ্চের এক পাশে রয়েছে বিশাল আকারের ডিসপ্লে বোর্ড। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বেঁধে দেওয়া সীমানায় ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ আশপাশে টাঙানো হয়েছে দেড় শতাধিক মাইক। গণমাধ্যম এবং সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য দুটি বড় ট্রাক একত্রিত করে তৈরি করা হয়ছে আলাদা দুটি মঞ্চ।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। মঞ্চে আশপাশে নেতাকর্মীর ভিড় বাড়ছে। সাদা, নীল, লাল, সবুজ ও হলুদ টুপি মাথায় হাজার হাজার নেতাকর্মী মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। মানুষের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় সকাল থেকে নয়াপল্টনের দুই পাশের সড়কই যান চলাচল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ দফা দাবিতে বিএনপি ছাড়াও ৩৭ দলের সমাবেশ আজ
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে আসছিলাম ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এর কোনো সীমানা নেই। এ জনস্রোতকে কোনো সীমানা দিয়ে রোখা যাবে না।
মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এখন যে মানুষ দেখছেন তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মী। পল্টনের সড়কে দাঁড়ানোর তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। ঢাকার ওয়ার্ডগুলো থেকে মানুষজন আসা শুরু করলে এ জনস্রোত মতিঝিল, শান্তিনগর, বিজয়নগর ছাড়িয়ে যাবে।
মহাসমাবেশ ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাকরাইলের নাইটেংগেল রেস্তোরাঁ ও ফকিরাপুল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পোশাক ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কেএইচ/এমকেআর/এএসএম