ক্ষমতায় গেলে সবার চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: ফখরুল
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কার্মচারীর চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের পাঠানো বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অতি নগণ্য সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ ও দলবাজ কর্মকর্তা অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। এতে বোঝা যায় যে, অনির্বাচিত ও অবৈধ আওয়ামী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সব ষড়যন্ত্র করছে, এমন অপপ্রচার সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ।
আরও পড়ুন>> ডুগডুগি বাজানো কমিশন দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার একাধিক বক্তব্যে এরই মধ্যে এ বিষয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দলের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রজাতন্ত্রের সব কর্মকর্তা-কার্মচারীর চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
ফখরুল বলেন, কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বা কাউকেই তা করতে দেওয়া হবে না। উপরন্তু, গত ১৫ বছর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, দীর্ঘদিন ওএসডি রাখা এবং পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের প্রতিও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন>> খালেদা-ফখরুলের পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যেসব কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে কিংবা চাপে পড়ে বিতর্কিত কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন, যা প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি বলে পরিগণিত হবে, সেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশ্যে বিএনপির আহ্বান হলো- এখন থেকে তারা যদি আর এরূপ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কোনো কাজ না করেন, তাহলে তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেবলমাত্র আইনানুগ আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য; কিন্তু বেআইনি আদেশ মানা বা বাস্তবায়নে বাধ্য নন। এদেশের সন্তান হিসেবেও দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা আমাদের সবার কর্তব্য। বিএনপি একান্তভাবেই প্রত্যাশা করে, সরকারি কর্মকর্তা-কার্মচারীরা কোনো দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ না করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।
কেএইচ/ইএ