নিবন্ধন-রাজনীতি
আইনি লড়াইয়ে কোন পথে জামায়াত?
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দলের আমিরসহ শীর্ষ নেতা ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে ১০ বছর পর গত ১০ জুন রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগ থেকেই কোনো সভা-সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছিল না জামায়াত। কিন্তু ১০ বছর পর প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে সমাবেশ করে দলটি। এরপর সুইডেনে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নামে-বেনামে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। মাঠের কর্মসূচিতে অনেকটা একলা চলো নীতি দেখা যাচ্ছে দলটির।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায় প্রথমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও বহাল থাকায় তাদের দণ্ডও কার্যকর হয়। ওইসব রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিগত দিনগুলোতে কঠোর কর্মসূচি দিয়েছিল জামায়াত। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সালের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিয়ে দেশের কোথাও কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি তারা। বিভিন্ন সময় ঝটিকা মিছিল করলেও নির্বিঘ্নে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। ঘরোয়া বৈঠক থেকেও দলটির বহু নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতে দলটির সমাবেশের অনুমতি পাওয়া এবং সমাবেশ করার পর নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে সরকার ও বিরোধী শিবির উভয় দিকে জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে মুখে মুখে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানির অপেক্ষায় জামায়াত
এরইমধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে বিএনপি যখন যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি দিয়েছিল, তখন জামায়াতও আলাদাভাবে ১০ দফা ঘোষণা করে। সে সময়ই জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামায়াত শুরুতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি আলাদাভাবে পালন করলেও পরে ওই আন্দোলন থেকে সরে যায়। যদিও তখন এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি তারা।
সুইডেনে কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সংগৃহীত ছবি
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ও জামায়াতের মধ্যে কোনো বোঝাপড়া হয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির আইনজীবীরা বলেন, গত ১০ বছর তারা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে নজর দিয়েছিলেন। এখন নির্বাচন এগিয়ে আসায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন। সেজন্য তারা এখন সমাবেশ করছেন।
রাজনীতির মাঠে কিংবা মানুষের মুখে যে আলোচনা রয়েছে তা হলো, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, তাতে দেশে নতুন এক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অবাধে সভা–সমাবেশ করার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গিয়ে সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু এ সমাবেশ ঘিরে জামায়াতের সাথে দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষিত শরিক দল বিএনপিতেও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন নিয়ে আপিল সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি থাকা সত্ত্বেও দলটিকে সমাবেশ করতে সরকারের অনুমতি দেওয়া সঠিক হয়নি বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের নেতারা। তারা বলছেন, জামায়াতকে প্রকাশ্যে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া দেশের জন্য অশুভ সংকেত।
আবার জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও রহস্যের সৃষ্টি করেছে। সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটি নিষিদ্ধ করতে আইন সংশোধনের আশ্বাস বছরের পর বছর ধরে দিয়ে আসছে আইন মন্ত্রণালয়। অপরদিকে নিবন্ধন বাতিলের আপিল শুনানির কোনো উদ্যোগ ছিল না। এরইমধ্যে গত ১৬ জুলাই জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছেন দলটির আইনজীবীরা।
জামায়াতের আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, আপিল বিভাগে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী জামায়াতের পক্ষে শুনানি করবেন। তিনি আগেও জামায়াতের নিবন্ধনের মামলায় শুনানি করেন। এছাড়া ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও এহসান সিদ্দিক আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তারাও মামলাটিতে সহযোগিতা করবেন।
কারাবন্দি জামায়াত আমিরকে সম্প্রতি আদালতে তোলা হয়-সংগৃহীত ছবি
অন্যদিকে সম্প্রতি আপিল বিভাগে জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিন্ন দুটি আবেদনও করা হয়েছে। পৃথক দুটি আবেদনের বিষয়ে রিটকারী ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা দুটি আবেদন জমা দিয়েছি। এগুলো আগামী ৩১ তারিখে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তারা যাতে এরকম সমাবেশ আর না করে। ১০ বছর ধরে তাদের থামিয়ে রেখেছিল, তারা এই সমাবেশ কেন করলো? এটা আদালত অবমাননা। তারা দাবি করেছে নিবন্ধন ফেরত পাওয়ার জন্য রাস্তায় নেমেছে অথচ এটা এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। কীভাবে তারা এটি করলো? তাই এ দুটি আবেদন করা হয়েছে। একটিতে জামায়াতের পলিটিক্যাল কার্যক্রম বন্ধ বা নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। অপরটিতে গত ১০ জুন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে পর্যবেক্ষক আসা সমীচীন হবে না
এ বিষয়ে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত একটি আপিল (আপিলের নম্বর- ৭৭৮/১৩), চাঁদপুরী যে রিটটি করেছিলেন, সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল আবেদন করা হয়। নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন দিয়েছে সেটা রাইটলি দেয়নি একথা বলে তারা রিটটি করেছিল। নির্বাচন কমিশন তখন বলেছিল তারা রাইটলি দিয়েছেন। তখন নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন নিয়ে জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। যখন হাইকোর্ট নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেন তখন কিন্তু আপিল বিভাগে আবেদন পেন্ডিং ছিল।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় রিটকারী আইনজীবী যে ইস্যুতে আপিল বিভাগে দুটি আবেদন জমা দিয়েছেন এর মধ্যে একটি হলো গত ১০ জুন এখানে প্রশাসন যে অনুমতি দিয়েছে তা নিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ। কোনো দলের সভা-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না দেওয়া তাদের (পুলিশের) দায়িত্ব না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা বিনাশের বিষয়টি দেখা তাদের দায়িত্ব। এটা তারা পালন করেছেন। এখানে আদালত অবমানার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
‘অপরটি হলো জামায়াতের পলিটিক্যাল কার্যক্রম বন্ধ বা নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। এমন দরখাস্ত ওনারা আনতে পারেন না। কারণ এ আবেদনগুলো মূল রিটের বাইরের। এগুলোর আইনগত ভিত্তি নেই।’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে জামায়াতকে বিএনপিই মাঠে নামিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ১৪ জুন দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রোড সেফটি প্ৰজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘আদালত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিলে জামায়াতের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।’
১০ বছরে দুবার সমাবেশের অনুমতি
২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছিল জামায়াত। এরপর থেকে দলটিকে কোনো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তারপরে এসে ২০২৩ সালের ১০ জুন রাজধানীর রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলের মঞ্চে অনুমতি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ করে দলটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে এবারও সমাবেশের অনুমতি পেলো না জামায়াত
এর আগে ৫ জুন সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে যান দলটির আইনজীবীরা। ডিএমপিতে প্রবেশ করার আগে তাদের আটক করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুই ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। ৫ জুন কর্মদিবস থাকার কারণে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানায় পুলিশ। তাই ছুটির দিন শনিবার (১০ জুন) তারা অনুমতির আবেদন করেন। পরে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
যদিও এরপর থেকে দেশের আর কোথাও সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না তারা। সম্প্রতি সিলেট ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে দফায় দফায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েও তা পায়নি স্থানীয় জামায়াত।
উচ্চ আদালতে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আশায় জামায়াত-ফাইল ছবি
এরইমধ্যে সোমবার (২৪ জুলাই) সারাদেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৮ জুলাই বিভাগীয় শহরে মিছিল, ৩০ জুলাই জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও ১ আগস্ট ঢাকা মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে দলটি।
এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা চেয়ে আইজিপির দপ্তরে আবেদনও করেছে তারা। পরদিন মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়েও যায় জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনেরও সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত।
আরও পড়ুন: সমাবেশে সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপিতে জামায়াতের আবেদন
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও নিবন্ধন নিয়ে লেখক সাংবাদিক ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির জাগো নিউজকে বলেন, এটাতো আমাদের কাছে খুব বিস্ময়কর মনে হয়েছে। ১০ বছর সরকার জামায়াতে ইসলামীকে মাঠে নামতে দেয়নি। কারণ যখনই মাঠে নেমেছে তারা মিছিল-মিটিং ও সমাবেশের নামে সন্ত্রাস করেছে। আমরা ২০১৪-১৫ সাল ভুলে যাইনি। জামায়াত-বিএনপি আগুন সন্ত্রাস যেগুলো করেছিল। সেই সন্ত্রাসীদের কী কারণে তারা অনুমতি দিয়েছে সমাবেশ করার জন্য এটাতো আমাদের বোধগম্যের বাইরে।
তিনি বলেন, আমরা ৩১ বছর ধরে আন্দোলন করছি জামায়াত-শিবিরের এই মৌলবাদী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য। গণহত্যার রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য। দেখা গেলো জামায়াতের লোক যতই বলুক, যে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বা তারা তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে জামায়াত নীতিগত ও আদর্শগতভাবে একটা সন্ত্রাসী দল। ১৯৭১ এর গণহত্যার মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণ করেছে। ’৭১ এর গণহত্যার আগেও তারা বহুবার গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছিল। যখন সময় আসে জামায়াত স্বরূপে আত্ম প্রকাশ করে। এখানে জামায়াতকে রাজনীতি করতে দিতে হবে, আমরা মনে করি না যে কোনোভাবে জামায়াতকে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত
জামায়াতের নিবন্ধন আপিল বিভাগে পেন্ডিং থাকার পরও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে আদালতে পেন্ডিং আছে জামায়াতের নিবন্ধন মামলা। নিবন্ধন প্রয়োজন হয় সংগঠনটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যে। নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নিয়ে সেই দলটি বাংলাদেশের আইন ও বিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। তো ২০০৮ সালে জামায়াত নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছিল। সেটা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটটি নিষ্পত্তি হয়েছে, ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে। কাজেই নিবন্ধনের সঙ্গে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো সম্পর্ক নেই। এ দুটো ভিন্ন জিনিস।
তিনি বলেন, নিবন্ধন না পেলে জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কিন্তু রাজনীতি করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সংবিধান বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিককে রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছে। তাই আমরা বলবো ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর যে আদালত অবমাননা পিটিশন করেছেন, সেটি যুক্তিযুক্ত নয়। তবে তিনি একজন আইনজীবী হিসেবে আবেদন করেছেন সেটি আদালতে নিষ্পত্তি হবে। এ ব্যাপারে এখানে কিছু বলবো না। আর আমরা মনে করি সাংবিধানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা নেই।
রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে জামায়াতের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আপিল বিভাগে পেন্ডিং আবেদনের সঙ্গে রাজনৈতিক কার্যক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে নিবন্ধনের কোনো সম্পর্ক নেই।
এফএইচ/এসএইচএস/এমএস