আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, সংঘাত চায় না: কাদের
আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বা সংঘাত চায়না বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যাদের জনসমর্থন নেই তারাই সংঘাত চায়। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যখন শোকের মাসের কর্মসূচি দিতে যায়, বিএনপি এবং কিছু মিডিয়া এটাকে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বলে। আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি বা সংঘাত চায়না, যাদের জনসমর্থন নেই তারাই সংঘাত চায়।
আরও পড়ুন> রাজধানীতে যুব-স্বেচ্ছাসেবক-ছাত্রলীগের যৌথ সমাবেশ ২৭ জুলাই
কাদের দাবি করেন, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ কষ্টে থাকলেও জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। ৭০ শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। জনগণের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে আওয়ামী লীগও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। ২০০৯ পূর্ববর্তী এবং ২০০৯ পরবর্তীকালে নির্বাচন কমিশন ছিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধিনে, শেখ হাসিনা এটাকে পরিবর্তন করেছেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকবে কেউ সংঘাত করতে আসলে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি খালি মাঠ পেলে সংঘাত করতে চাইবে। আমরা সেই সুযোগ দেবো না। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী নয় অস্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। এরশাদ কিংবা জিয়া কেউই জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। কারণ তাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই। বিএনপি জানে নির্বাচন হলে তাদের অবস্থা কী হবে। নির্বাচনে বিএনপিকে জয়ের নিশ্চয়তা না দিলে তারা নির্বাচনের প্রতি আস্থাশীল হবে না।
আরও পড়ুন> কোনো পরাশক্তির প্রেসক্রিপশনে দেশে নির্বাচন হবে না: নানক
কাদের বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিসহ সব শক্তিকে নিয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্য অভিযাত্রা করবো। আর ছাড় নয়, পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে এই দেশ ছেড়ে দিবো না, তাদের হাতে দেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন কিছুই নিরাপদ নয়। দেশের জন্য শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লড়াই করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শোকের মাসের মর্যাদা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, যেকোনো দিবস বা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি থেকে দূরে থাকতে হবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখতে হবে।
এসইউজে/এসএনআর/জেআইএম