ইনসাফ কমিটির সঙ্গ ছাড়লে রেজা কিবরিয়াকে দলে ফেরানো হবে: নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৩

ইনসাফ কমিটি ও শওকত মাহমুদদের সঙ্গ ছাড়লে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে ফের দলে ফেরানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।

রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নুর।

তিনি বলেন, বহিষ্কৃতরা যদি ভুল বুঝতে পেরে জনগণের সামনে দুঃখ প্রকাশ করে, তাহলে তাদের আগের পদ ও অবস্থান নিশ্চিত করা হবে।

‘রেজা কিবরিয়া আমাদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক। তাকে নিয়ে এখনো আমরা কাজ করবো। যদি তিনি ঘোষণা দেন গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁদ মাসুদ করিম, এনায়েত করিমদের তৎপরতা, এতে তিনি অংশ হবেন না। ইনসাফ কমিটিসহ শওকত মাহমুদদের কোনো প্রোগ্রামে যাবেন না। এই কথাটা দিলেই, আমরা আগামীকাল তাকে দলে ফিরিয়ে নেবো। কিন্তু রেজা কিবরিয়া সেখানে জিম্মি হয়ে আছেন। ওখান থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। ওই মধু তিনি ছাড়তে পারবেন না।’

তিনি বলেন, প্রতিকূল সময়েও কাউন্সিলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ৮ সদস্যের উচ্চতর পরিষদ গঠিত হবে। সেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।

যথাসময়েই কাউন্সিল হবে। এর পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁদে পড়ে আমাদের কিছু সহযোদ্ধা কাউন্সিলে অংশ না নিয়ে, কাউন্সিল ভন্ডুল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কাউন্সিলে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত তারা আসেননি। আমার বিশ্বাস, কাউন্সিল সফল হলে তারা পুনরায় দলে আসবেন। সব কার্যক্রম দলীয় কার্যালয়ে পরিচালিত হচ্ছে। যারা দূর থেকে হুমকি দিচ্ছে যে কাউন্সিল হবে না, সেগুলো ফাঁপরবাজি।

তিনি বলেন, আজ ইসিতেও ৩ জন গেছে। এই তিনজন-পাঁচজন ম্যাটার করে না। গণঅধিকার পরিষদকে নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তাদের মুখে ছাই পড়বে। কাউন্সিল সফল হবে।

দলের ভাঙন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি স্বাভাবিক ঘটনা। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দিকে তাকান। আওয়ামী লীগ অসংখ্য বার ভেঙেছে। বিএনপি ভেঙেছে, জাতীয় পার্টি ভেঙেছে। বিভিন্ন দেশে যখন ফ্যাসিবাদী শক্তি থাকে, তখন তারা তাদের বিরোধী শক্তিকে ভাঙার জন্য নানান কৌশল নিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বিরোধীদের দল ভাঙার জন্য নানান ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

নুর বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসতে পারে। টান টান উত্তেজনা আছে। প্রার্থীদের শক্তিশালী অবস্থান ও ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। কাউন্সিল প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হোক। এটিই আমরা চেয়েছি। কাজের জোরে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। গায়ের জোরে কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সাহায্যে নয়।

এসএম/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।