বিদায়ের ভয়ে কাঁপছে সরকার: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার মনে করছে এই বুঝি ক্ষমতা গেলো, এই বুঝি ক্ষমতা গেলো। এরা সবসময়ই ভয়ভীতির মধ্যে আছে। সরকার বিদায়ের ভয়ে কাঁপছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বলে সরকার কবে যাবে। আমরা এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সম্মিলিতভাবে সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করবো। বিজয় আমাদের হবেই, বিজয় দূরে নয়।
শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খান হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘গণতন্ত্র নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এখানে ব্যানারে উল্লেখ আছে গুম, খুন, সীমান্ত হত্যামুক্ত বাংলাদেশ চাই। বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এই জুলাই মাস হতে পারে স্বৈরতন্ত্র পতনের মাস। আমি বলতে চাই, জানি না হয়তো জুলাই মাসেও হতে পারে। যেহেতু ১৪-১৫ বছর ধরে একই রকম অপরাধ করেই যাচ্ছে সরকার। অপরাধের সীমা দিনের পর দিন বেড়েই যাচ্ছে। তাই আমি বলবো জুলাই মাসে যদি না হয় আগস্টেই হোক, অথবা সেপ্টেম্বরে হোক। অথবা ডিসেম্বরের মধ্যেই হোক, যদি হয় দেশের জনগণ খুশি হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আমি মনে করি শেখ হাসিনার জন্য এটি কল্যাণকর। আপনারা জানেন শুধু বাংলাদেশিদের থেকে তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ওপর চাপ নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে তার প্রতি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশে একটি অবাধ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমিও বলতে চাই, আপনি দয়া করে পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
আলোচনা সভায় দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, আমি সব দলকে অনুরোধ করবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। আমরা সহিষ্ণু জাতি। আমাদের হেরে যেতে হয় ঐক্যের অভাবে। আমরা যখনই ঐক্য দেখি তখনই বিভেদ তৈরি করতে দেখা যায়। ইতিহাস পড়ে দেখেছি, এই অঞ্চলে যত বিভাজন তৈরি করা যায় অন্য কোথাও এমনটা করা যায় না।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সহকারী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার, সাবেক ছাত্রনেতা এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।
আরএসএম/কেএসআর/জেআইএম