বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি ফখরুলের শুভেচ্ছা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ০৪ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বুধবার (৩ মে) এক বিবৃতিতে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি তার অনুসারীদের চিরন্তন বাণীতে মানবকল্যাণে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব রক্তপাত সংঘাত-সংঘর্ষে মানবজাতি ক্ষতবিক্ষত। এ শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। শান্তি, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও মানবপ্রেম সব ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আজও বিশ্বসমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্যদিয়ে সুখ আহরণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সব মায়াবী বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সব প্রতিকূলতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের মাধ্যমে তিনি জগতের সব প্রাণীর কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের অমরবাণী প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তার বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।

আরও পড়ুন>> আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজের ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সপ্ত অপরিহনীয় ধর্ম প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সব স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গল সূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ আলোকিত সমাজ, যে সমাজে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো সংঘাত-সহিংসতা। তিনি জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় বের করেন।

‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সব বাধা-বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত গণতন্ত্র, শান্তি, ও নিরাপদ আশ্রয় ফিরে আসবেই। চলুন আমরা আজ সবাই দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্য ও আত্মীয়তাবোধ সৃষ্টি করি এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও যথাযথ মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করি। সর্বোপরি ত্যাগে, উদারতায় ও মহত্ত্বতায় উন্নত সুখময় জীবন এবং সব ধরনের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতামুক্ত সমাজ ও বিশ্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠা করি-শুভ বুদ্ধপূর্ণিমার এ দিনে আমরা সেই শপথ ও প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হই। বুদ্ধপূর্ণিমা সফল হোক। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।’

মির্জা ফখরুল বলেন, সর্বোপরি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই দেশের সব বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী সমূহ একীভূত হয়। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। আমি বুদ্ধপূর্ণিমার সাফল্য এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সবার সুখী ও শান্তিময় জীবন কামনা করি।

কেএইচ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।