তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার পর নির্বাচন: ফখরুল
বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচন তখনই হবে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে আগুন নিয়ে খেলছে, সেই আগুনেই পুড়বে: কাদের
তিনি বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে পরিবর্তনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে বাঁচাতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশে তখনই নির্বাচন হবে, যখন সরকার পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
আরও পড়ুন: এক দফা এক দাবিতে রাস্তায় নেমে আসছে জনগণ: নোমান
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন কৃষকরা। আজ সেই কৃষকরা ভালো নেই, তারা উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পাচ্ছে না। উৎপাদন খরচ বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কারণে সার কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। বিএনপির সময় কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়েছে। কৃষকদের বাঁচাতে হলে পরিবর্তন প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকার একটার পর একটা আইন করে দেশকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে পরাজিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: তারেককে রাজনীতির বাইরে রাখতেই মিথ্যা মামলার বিচারকাজ শুরু: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ঘুস-দুর্নীতি আর লুটপাটে ছেয়ে গেছে দেশ। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।
ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ।
কেএইচ/জেডএইচ/এএসএম