ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনেক আইন করেছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র নেই বলেই কারও অধিকার নেই। এমন একটি সরকার, জোর করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকার জন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করেছে। তারা সংবিধানের মৌলিক জায়গাগুলো পরিবর্তন করেছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। রাজনীতিক, কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের সম্মানে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরা এখানে অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, অনান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানাতে চাই দেশকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য, ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য, আরও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি সেজন্য আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
তিনি বলেন, রোজা সংযমের মাস হিসেবেই জানি আমরা। কিন্তু এ মাসে সরকার সংযম দেখাতে পারেনি। গতকাল সারাদেশে আমাদের যে কর্মসূচি ছিল, সেখানে হামলা, ভাঙচুর গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দানবীয় সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে এক কাতারে সামিল হতে হবে।
আরও পড়ুন>> সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে
সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবাই আসুন ঐক্যবদ্ধ হই। দেশকে মহা দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করি।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, এ জুলুমবাজ সরকারের হাত থেকে বাঁচতে হলে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদের বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সরকার জনগণের বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে, তাই এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশে ভয়াবহ অরাজকতা চলছে, মানুষে মানুষে বিভেদ ছাড়া এ সরকার কিছুই করতে পারেনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকার অর্ধেক আছে, বাকি অর্ধেক ঈদের আন্দোলন গড়ে তুলে বিদায় করতে হবে।
আরও পড়ুন>> ফখরুলের বক্তব্য দায়িত্বহীন, বিএনপিই আগুন নিয়ে খেলে
ইফতার মাহফিলে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান, জাগপার সভাপতি লুৎফুর রহমান, এবি পার্টির আহ্বায়ক এস এম সোলাইমান চৌধুরী, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়াটার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীসহ গণফোরাম ও বিপিপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/ইএ/জিকেএস