সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে: ফখরুল
সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আসার পর কৌশলে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। বারবার দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করছে আওয়ামী লীগ। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হলো এককভাবে দেশকে শাসন করা। এজন্যই তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিল করেছে।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নওগাঁর ঘটনা সারাদেশের মানুষের সামনে গণতন্ত্রহীনতা ও নিরাপত্তাহীনতার একটি দৃষ্টান্ত। দেশে গণতন্ত্র নেই, সরকারের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। সংবিধানের মৌলিক জায়গা পরিবর্তন করে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই নতুন আইন তৈরি করছে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায় বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে চায় না।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস-নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সারাদেশে থানা-উপজেলা পর্যায়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশির বাধার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে, হত্যা, গুম, গ্রেফতার ও নির্যাতন করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় সরকার।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব যাদের কাঁধে, তাদের কাছে এখন জীবন নিরাপদ নয়। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার পাচ্ছে না মানুষ। সরকার সবক্ষেত্রে ব্যর্থ বলেই সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। দখলদারত্ব এবং কর্তত্ববাদই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এমকেআর/এমএস