আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, তাই কাউন্টার প্রোগ্রাম দিচ্ছে: আমীর খসরু
চট্টগ্রামে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই এখন তারা কাউন্টার প্রোগ্রাম দিচ্ছে, কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া ছাড়া তাদের বিকল্প নেই। শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে নগরীর চৌমুহনী মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডবলমুরিং থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু আরও বলেন, দেশে আজ নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না। মুরগি এখন চারভাগে ভাগ করে বিক্রি করা হচ্ছে, গরুর মাংস গ্রাম হিসাব করে বিক্রি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ অর্থনীতির লুটেরা যারা সম্পদ লুটপাট করেছে তারা বাদে দেশের প্রায় মানুষ কষ্টে আছে। আওয়ামী লীগ প্রায় সংবিধানের কথা বলে।
আমি তাদের একটা কথা বলতে চাই, সংবিধান কি গুম-খুন করতে বলেছে?, অর্থনীতি ধ্বংস করতে বলেছে?, লুটপাট করতে বলেছে? মানুষের মানবাধিকার-ভোটাধিকার হরণ করতে বলেছে? সবকিছুতে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ, এ দেশের জনগণ চোরদের হাতে তাদের ভাগ্য তুলে দিতে পারে না। আওয়ামী লীগ বলে খালেদা জিয়া নাকি রাজনীতি করতে পারবে কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। মামার বাড়ির আবদার, মনে হচ্ছে দেশটা তাদের জমিদারি, যা বলবে তাই মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যতগুলো গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত সবগুলো যোগ করলে যতগুলো মামলা হবে নির্বাচন তো দূরের কথা তাদের নেতা-নেত্রীরা কেউ জেলের বাইরে থাকতে পারবে না। আজ জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশ তাদের লুটপাট, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভোটাধিকার লঙ্ঘনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। আইএমএফ থেকে লোন নিয়ে তারা কি করছে তাও পর্যবেক্ষণ করছে। তারা যতই চেষ্টা করুক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাদের বিদায় নিতে হবে, তাদের বিদায় করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।
ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়ার পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, মো. নাজিমুর রহমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসেম, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুল আলমসহ আরও অনেকে।
ইকবাল হোসেন/এমআইএইচএস/এমএস