আওয়ামী লীগের আমাকে ভয় পাওয়া স্বাভাবিক: রুমিন ফারহানা
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দলটির সাবেক সংরক্ষিত এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভয়ে কাঁপছে। তারা এখন ছায়া দেখলেও ভয় পায়। সেখানে আমাকে ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের আসন্ন উপ-নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকায় রুমিন ফারহানাকে প্রতিহত করার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি মুঠোফোনে জাগো নিউজকে এ কথা বলেন।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সভা শেষে রুমিনকে প্রতিহত করার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রুমিন ফারহানাকে প্রতিহতের ঘোষণা
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, আওয়ামী লীগ ভাবছে, আমি ওই (আশুগঞ্জ-সরাইল) এলাকায় গেলে উনাদের প্রার্থীর বিজয়ী হতে সমস্যা হতে পারে। এটা উনাদের ধারণা, আমি এটা অনুমান করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কাউকে নির্বাচন প্রতিহত করতে বলিনি। আমি দলীয় নেতাকর্মীদের বলেছি আপনারা কেউ কেন্দ্রে যাবেন না। এখানে কেন্দ্রে যাওয়ার তো কিছু নেই। বিএনপির তো কোনো প্রার্থী নেই, বিএনপি কেন কেন্দ্রে যাবে।
গত ১৫ জানুয়ারি আশুগঞ্জে এক মতবিনিময় সভায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একটা কথা পরিষ্কার বলেছেন, ঘরে ঘরে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে৷ ভোটের দিন আমরা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবো না। অনেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকতে পারে, পারিবারিক সম্পর্ক থাকতে পারে, ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতে পারে, কিন্তু সেই সম্পর্কের টানে কেউ যেন উকিল আব্দুস সাত্তারের পক্ষে কাজ না করে। কেউ যেন একটা ভোটও না চাই। দল অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে। যারা কাজ করবেন তাদের নাম যেন আমি জমা দিই। যদি কোনো পদে থাকেন সেই পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতির কারণে আমাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার আশুগঞ্জে এক সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, রুমিন ফারহানা এসে তার দলের নেতাকর্মীদের উসকে দিতে চেয়েছেন। উপ-নির্বাচনের সময় তিনি যদি সরাইল বা আশুগঞ্জের কোথাও আসেন, তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এ আসনে চারবার এমপি ছিলেন।
উপ-নির্বাচনে আব্দুস সাত্তারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এমকেআর