চট্টগ্রামে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় চার মামলা, গ্রেফতার ২০
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার কাজীর দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলা এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পদ ধ্বংস, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও সন্ত্রাস দমন আইনে দায়ের করা এসব মামলা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ কয়েকশ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলাগুলো রেকর্ড হয়। চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবীর জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন>> চট্টগ্রামে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য আহত, আটক ১৬
জাহেদুল কবীর বলেন, জেলা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় মিরসরাই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩২ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৯৬ জনকে এজাহারনামীয় ও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া কাজীর দেউড়ি মোড়ে টিআই বিপ্লব কুমার পালের ওপর হামলা এবং তার সরকারি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ৩৫ জনকে এজাহারনামীয় ও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। ওই টিআই বিপ্লবের ওপর হামলা, সরকারি সম্পদ ধ্বংস এবং সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন>> পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চট্টগ্রাম, আটক বেশ কয়েকজন
তিনি বলেন, এসব মামলায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে যে মামলায় যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাদের মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হবে। ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এর আগে সোমবার বিকেলে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন নাসিমন ভবন চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন>> নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা, সতর্ক পুলিশ
সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এক পুলিশ সদস্যকে পেটাতে দেখা যায়। এছাড়া গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে নগরীর আলমাস সিনেমা মোড়, কাজীর দেউড়ি থেকে এসএস খালেদ রোড, পুরাতন বিমানবন্দর এলাকা, নেভাল রোডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।হামলায় বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
ইকবাল হোসেন/এমএএইচ/জেআইএম