দেশকে জনগণের কাছে ফেরত দিতেই ২৭ দফা: মোশাররফ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২৩
শুভ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপি নেতারা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই দেশের মালিক জনগণ, এই জনগণ আমি-আপনি সবাই। বাংলাদেশটা এ দেশের জনগণের, এই জনগণের দেশকে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠী নিজেদের করে নিয়েছে। তারা লুটপাট করছে। অতএব এই দেশটিকে উদ্ধার করে জনগণকে ফেরত দিতে হবে। সেজন্যই আমাদের ২৭ দফা রূপরেখা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করবো। জনগণের কাছে ফেরত দেবো।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামোর যে ২৭টি রূপরেখা ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। এই নীতির মধ্যে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে।

সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ধনী এবং গরিবের মধ্যে যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছ, ব্যাংক ডাকাতি করেছে- সবকিছু আপনারা ভালো করেই জানেন। যারা এসব কাজ করেছে তারা কখনোই এসব মেরামত করতে পারবে না। এই চিন্তা চেতনা থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। এরইমধ্যে বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন এবং আশা সঞ্চার করেছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনারা দেখেছেন যারা গায়ের জোরে সরকারে রয়েছে তারা নানান জায়গায় কত অনাচার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়- মন্দিরে গির্জায় ইত্যাদি স্থানে। এগুলো বলে শেষ করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। তার অর্থ হচ্ছে এ সরকারকে আমরা হটাতে চাই। এ সরকারকে না হটাতে পারলে যত অনাচার অত্যাচার, অন্যায় রয়েছে তা আমরা দূর করতে পারবো না। গণতন্ত্র না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠানই ঠিকমতো চলতে পারে না। সেটাই আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। স্বাধীনতার পরেও (প্রমাণ) করেছে বাকশাল করে, এখন আবার করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে গিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংখ্যালঘু শব্দ কখনোই ব্যবহার করে না। দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই সমান। সেই পার্থক্য ঘুচিয়ে দিতেই রেইনবো নেশন গঠন করতে চায় বিএনপি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।

এ সময় বিএনপির ২৭ দফার ঘোষণাপত্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছে বিলি করা হয়।

কেএইচ/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।